কুড়িগ্রামের উলিপুরে কলা বিক্রির টাকা চাওয়ায় বিক্রেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই কলা বিক্রেতা প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের থেতরাই বাজারে গত ২৪ মে বিকালে কলা বিক্রয় করতে যান দড়ি কিশোরপুর এলাকার মোন্তাজ আলীর ছেলে এমদাদুল হক। এক পর্যায়ে ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা এমদাদুলের থেকে ৪ হালি কলা ক্রয় করেন। এ সময় এমদাদুল কলার টাকা চাইলে তিনি বলেন, ‘তুই আমাকে চিনিস না? তুই একটা ছোট লোক, চেয়ারম্যানের কাছে সামান্য কলার টাকা চাও।’
এ সময় চেয়ারম্যন আতা হাতে থাকা কলাগুলি মাটিতে ফেলে দেন এবং এমদাদুলকে চড়-থাপ্পড় মেরে গলা চেপে ধরেন। চেয়ারম্যানের এমন আচরণে হতভম্ব হয়ে পড়েন ওই কলা বিক্রেতা।
স্থানীয়রা জানান, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, মারপিটসহ জায়গা-জমি দখলের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে উলিপুর থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।
এমদাদুল হক বলেন, ‘চেয়ারম্যানের কাছে কলা বিক্রির টাকা চাওয়ায় তিনি বাজারে শত শত মানুষের সামনে আমাকে মারধর করেন এবং আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ সময় আমার দোকানের সব কলা তিনি ফেলে দিয়ে নষ্ট করেন। আমি গরিব মানুষ, এতে আমার প্রায় ১ হাজার ১০০ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার সময় চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বাজারের উপস্থিত সবাই দেখার পরেও তার ভয়ে কেউ কথা বলার সহাস পাননি।’
তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
এ বিষয়ে থেতরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা কলা বিক্রেতাকে চড়-থাপ্পড় মারার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো কলা ক্রয় করিনি এবং কাউকে মারধরও করিনি। যে অভিযোগ করেছে সে কোনো কলা বিক্রেতা নয়। সে এলাকার খারাপ মানুষ।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (এউএনও) শোভন রাংসা অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, যেহেতু ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাই বিষয়টি অফিসিয়ালি দেখা হবে।