কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো গাজীপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এখন চলছে গণনা।
সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ একটাকা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভিড় করেন ভোটাররা। নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ নেই প্রার্থীদের। এদিক সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে ছিল ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি। বিশেষ করে নারী ভোটারদের সংখ্যা ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে দুপুরের দিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমে যায়।
নগরে এই প্রথম ইভিএমে ভোট। এ প্রযুক্তির সাথে অনেক ভোটারই অপরিচিত। যে কারণে অনেক কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণে ছিলো ধীরগতি। বিশেষ করে নারী ও বয়স্করা কিছুটা জটিলতায় পড়েন। তবে তরুণরা স্বাচ্ছন্দ্যেই ভোট দিয়েছেন।
গাজীপুর সিটিতে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের মধ্যে। দুজনের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তাদের মতোই ভোটের পরিবেশ ভালো বলে জানান আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনূর ইসলাম রনি।
গাজীপুর সিটির ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তিন মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান, শাহনূর ইসলাম রনি এবং জায়েদা খাতুন।
সকালে টঙ্গীর দারুস সালাম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান। এ সময় তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হচ্ছে। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন আশা নিয়ে ভোটাররা সকাল থেকে অপেক্ষা করছে ভোট দিতে। আমি আশা করি আজকের জয় একটি দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন গড়ার প্রত্যয় নিয়ে জনগণ নিজেই জয়ী হবে। আমি সব সময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম।
একই কথা জানিয়ছেন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী জায়েদা খাতুনও। সকাল ১০টায় কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিয়ে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্তু ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে। কিছু কিছু জায়গায় আমাদের এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে, ইনশাআল্লাহ সত্যের বিজয় হবে।
এদিকে সকাল ৯টায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে ভোট দেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনূর ইসলাম রনি। তিনিও জানান, নির্বাচনি পরিবেশ শান্তিপূর্ণ আছে। রনি আরও বলেন, কেন্দ্রের ভেতরের পরিবেশ ভালো। এই কেন্দ্রে তার পোলিং এজেন্ট আছে। মোটামুটি ভোটার উপস্থিতি আছে।
এই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী দিয়েছে পাঁচটি দল। তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ভোটের মাঠে রয়েছেন আট মেয়র প্রার্থী। বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা ভোট বর্জন করেছেন।