দৃশ্যত চীনকে টেক্কা দিয়ে পাপুয়া নিউ গিনির সাথে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সই করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় প্রভাব বিস্তারে চীনের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস পারাপে সোমবার একটি চুক্তি এবং একটি সামুদ্রিক নিরাপত্তা সমঝোতায় সই করেন। রাজধানী পোর্ট মারেসবিতে ব্লিনকেনের সফরের সময় এই চুক্তি সই হয়।
চুক্তিরটির বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়নি। তবে জানা গেছে এর ফলে পাপুয়া নিউ গিনির সামরিক ও অন্যান্য স্থাপনায় প্রবেশ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।
নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পাশে অবস্থিত বিরল জনবসতির দেশটির কৌশলগত তাৎপর্য বিপুল। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন এই এলাকায় তার প্রভাব বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারা তাদের নৌবাহিনীর উপস্থিতিও এখানে বাড়াচ্ছে। সম্প্রতি তারা সোলোমন আইল্যান্ডসের সাথে একটি নিরাপত্তা চুক্তিতে সই করেছে। তবে পুরো এলাকায় তাদের প্রভাব বলয় সৃষ্টির প্রয়াস বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
পাপুয়া নিউ গিনির প্রতি চীনের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। দেশটির অর্থনীতিতে চীনের তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রয়েছে। দেশটির সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সম্পদে বিনিয়োগ ও আমদানিতে চীন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নতুন চুক্তির ফলে পাপুয়া নিউ গিনিতে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই চুক্তিতে স্বচ্ছতা নেই বলেও বিরোধী পক্ষ অভিযোগ করেছে। চুক্তিটি পার্লামেন্টে পাস হতে হবে এবং বিচার বিভাগেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
সূত্র : সিএনএন