অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য টাকা নিয়ে না যাওয়ায় আয়োজকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। আজ সোমবার আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নোবেল বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ ও শরীয়তপুরবাসীর কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি কথা দিলাম, উত্তরবঙ্গ ও শরীয়তপুরে গিয়ে পরবর্তীতে প্রোগ্রাম দুটি আবার করে দিয়ে আসব। অনুষ্ঠান দুটি খুব সুন্দর হবে। প্রোগ্রাম নিয়ে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
এক লাখ ৭২ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে মতিঝিল থানায় করা মামলায় জামিন পেয়েছেন সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল।
বাদীর সঙ্গে আপস করে টাকা বুঝিয়ে দিয়ে অর্থ আত্মসাতের মামলায় জামিন পান সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল। আজ সোমবার নোবেলকে জামিন দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিন।
এদিন দুপুর ১২টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক হুমায়ুন কবির আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে নোবেলের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২০ মে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রতারণার অভিযোগে গত ১৬ মে রাজধানীর মতিঝিল থানায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে নোবেল তাদের রাজধানীর থানাধীন হিরাঝিল হোটেলের দ্বিতীয় তলায় যেতে বলেন। গত ২৫ মার্চ মামলার বাদী সাফায়েত ইসলাম ও তার বন্ধু হাবিবুর রহমান দুজন সেখানে যান এবং অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনার পর গান গাওয়ার জন্য মোট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা ঠিক করা হয়। তখন নোবেলকে নগদ ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এ সময় নোবেল অনুষ্ঠানের আগে অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে জানান এবং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩০ মার্চ সিটি ব্যাংক এটিএম বুথ শরীয়তপুর শাখা থেকে ৪৭ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর গত ১৪ এপ্রিল একই শাখা থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা নোবেলের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে তাকে মোট এক লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল। তবে নোবেল অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন।