চলচ্চিত্রের মিয়া ভাইখ্যাত অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মারা গেছেন। স্থানীয় সময় আজ সোমবার সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
স্কুল জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হলেও চিত্রনায়ক ফারুক কখনো ভাবেননি তিনি সংসদ নির্বাচন করবেন। চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে তিনি সারাজীবন অভিনয় করে গেছেন। ১৯৬৬ সালে তিনি ছয় দফা আন্দোলনে যোগ দেন এবং এ সময়ে তার নামে প্রায় ৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া অভিনয়ের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও তার উপস্থিতি সব সময় চোখে পড়েছে।
মনোনয়নের চিঠি হাতে চিত্রনায়ক ফারুক। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়
ফারুক ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিতব্য একাদশ বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
শুরুতে তার নিজ এলাকা গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ) থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন, কিন্তু দল তাকে ঢাকা-১৭ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পরামর্শ দেয়। পরে ঢাকা-১৭ আসন থেকে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এরপর ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন পান ফারুক।
মনোনয়ন পাওয়ার পর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমি সত্যি খুব আবেগতাড়িত। সম্মানিত বোধ করছি দলের এমন মূল্যায়নে। এ দেশের মানুষকে অনেক ভালোবাসি। এ দেশের মানুষও আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে। এই ভালোবাসার কথা কখনোই ভুলতে পারব না। আমি শুধু ঢাকা-১৭ এলাকার কাজ করব তা কিন্তু নয়, দলের প্রয়োজন ও দেশের মানুষের টানে যেকোনো প্রান্তে ছুটে যাব। আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।’
পরিবারের সঙ্গে চিত্রনায়ক ফারুক। ছবি: সংগৃহীত
তবে জয়ের বিষয়ে কখনো মনোবল হারাননি। কারণ ওই সময় তিনি বলেছিলেন, দেশের যেকোনো জায়গা থেকে লড়ার মতো যোগ্যতা আছে তার। কারণ সারা দেশের মানুষই তার ভালোবাসার এবং খুব আপন।
এরআগে ঢাকা-১৭ আসন থেকে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ২০১৪ সালে নির্বাচনে এই আসনে সাংসদ হন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের এস এম আবুল কালাম আজাদ।
ঢাকার গুলশান-বনানী-ঢাকা সেনানিবাস-ভাষানটেকের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসন।