ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারে প্রবেশ করেছে। একইসঙ্গে এটি দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আজ রোববার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা ৬টায় উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি দুর্বল হয়ে মিয়ানমারের সিত্তওয়েতে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে এবং মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
উপকূলী অতিক্রমের আগে মোখা কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত হেনেছে। এতে জেলার প্রায় ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু টেকনাফের সেন্টামার্টিনেই ১ হাজার ২০০ ঘরবাড়ি ক্ষতির মুখে পড়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে করে বিপদের শঙ্কা অনেকটাই কেটে গেছে।