ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন নিয়ে হয়রানি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সোমবার (২৯ জুন) ইস্কাটন রোডের লেডিস ক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সরকারের প্রতি অভিযোগ তুলে খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি মহাসচিবকে (মির্জা ফখরুল ইসলাম) জামিন দেওয়া হলেও তা নিয়ে এখন হয়রানি করা হচ্ছে।
ইফতার মাহফিলে সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন,যারা বড় বড় কথা বলছে, তারা সফল হবে না। আল্লাহ আমাদের সহায় আছে। মক্কা শরীফে আমাদের জন্য প্রতিদিন দোয়া হচ্ছে। কারও না কারও দোয়া কবুল হবে। এ জালিমরা বিদায় নেবে। কিন্তু তাদের হয়ে যারা কথা বলছে, তারা তখন বুঝবে। তারা দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা পাবে না। আল্লাহর কাছেও ক্ষমা পাবে না।
খালেদা বলেন, ঘরে বাইরে কোথাও নিরাপদে নেই মানুষ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের মনে শান্তি নেই।
ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার শুধু সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়াচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের দিকে খেয়াল নেই, দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষের রোজা রাখতে কষ্ট হচ্ছে।
‘কিন্তু তারা (সরকার) ব্যস্ত আছে লুটপাট ও ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে। আর ২০ দলের ওপর নির্যাতন করছে।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনায় খালেদা বলেন, তারা নিজেরা নষ্ট হয়েছে, এখন যুব সমাজকে নষ্ট করতে চলেছে। মাদক আমদানি করে যুব সমাজকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
‘নারীরা কোথাও নিরাপদ নয়। আগে কখনও এভাবে ট্রেনে-বাসে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি,’ বলেন তিনি।
এর আগে ৬টা ৪০ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান।
অনুষ্ঠানে ২০ দলের নেতাদের মধ্যে এলডিপির কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, জাতীয় পার্টির (জাপা-জাফর) কাজী জাফর আহমদ, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের মুহাম্মদ ইসহাক, জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আমিনুল ইসলাম, এনডিপির খন্দকার গোলাম মূর্তজা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ড.ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, মুসলিম লীগের এএইচএম কামারুজ্জামান খান, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, ডিএল’র সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান প্রমুখ।
ইফতারের আগে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।