দেশের বিমানবন্দরগুলোয় ট্যুরিস্ট পুলিশ রাখার প্রস্তাব উঠেছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে এরকম প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের বিমানবন্দরগুলোয় ট্যুরিস্ট পুলিশ থাকবে। তারা নিরাপত্তার পাশাপাশি হেল্পডেস্কের মাধ্যমে পর্যটকদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে। এতে পর্যটকদের, বিশেষ করে বিদেশি পর্যটকদের সর্বোচ্চ পর্যটকবান্ধব নিরাপত্তা সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে। এতে বিশ^ দরবারে পর্যটনের ক্ষেত্রে ‘সেইফ ডেস্টিনেশন’ হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ।
প্রস্তাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (ঢাকা) তৃতীয় টার্মিনালে স্পেস বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (চট্টগ্রাম), ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (সিলেট) এবং অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর কক্সবাজার, সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশাল বিমানবন্দরে দ্রুত ট্যুরিস্ট পুলিশের হেল্পডেস্ক স্থাপনের স্থান বরাদ্দের জন্য চিঠি দিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
জানা গেছে, পর্যটন শিল্পের বিকাশে ২০১৩ সালে ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করে সরকার। বর্তমানে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে এ ইউনিট পরিচালিত হয়। প্রতিটি দেশে প্রবেশের অন্যতম গেটওয়ে হিসেবে সে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে প্রথমেই বিবেচনা করা হয়। তবে বর্তমানে পর্যটন আকর্ষণ বৃদ্ধির জন্য কিছু দেশ নিজেদের বিমানবন্দরকে ট্যুরিজম গেটওয়ে হিসেবে সংশ্লিষ্ট দেশের ট্যুরিস্ট পুলিশের অফিস কিংবা হেল্পডেস্ক স্থাপন নিশ্চিত করেছে। বিমানবন্দরে নেমেই একজন পর্যটক জানতে পারেন সংশ্লিষ্ট দেশের পরিবহন ব্যবস্থা, আবাসন, আতিথেয়তা, সুরক্ষা, নিরাপত্তা, স্থানীয় আইন-কানুন, সংস্কৃতি, করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে। বিদেশি পর্যটকদের একটি ক্যাটাগরিভিত্তিক ডাটাবেইজ প্রস্তুত করে তা সংরক্ষণ করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ। দেশি পর্যটকদের বিদেশ ভ্রমণের ডাটাবেইজও তৈরি করবে। কোনো পর্যটকের ইমিগ্রেশনে সমস্যা, মালামাল হারানো অথবা যে কোনো অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে ট্যুরিস্ট পুলিশ। বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার সময় কেউ প্রতারিত হলে সেটিও তারা দেখবে। এ ছাড়া ভ্রমণকালে কোনো অংশীজন পর্যটকের সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ করলে তা খেয়াল রাখবে ট্যুরিস্ট পুলিশ। দেশের বিমানবন্দরগুলোয় প্রতিনিয়ত পর্যটক আসেন। জাতীয় আয়ের একটি বড় অংশ পর্যটন খাত। কিন্তু বিমানবন্দরে ট্যুরিস্ট পুলিশ না থাকায় পর্যটকদের কাক্সিক্ষত সেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে দাবি করেছে এ ইউনিট। পর্যটকদের জন্য ‘সেইফ ডেস্টিনেশন’ সেøাগানকে আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ও কার্যকর করতে হেল্পডেস্ক স্থাপনে চিঠি দিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানের বক্তব্য জানতে যোগযোগ করা হয়। কিন্তু তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।