সারাদিন ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত স্ত্রী। এর প্রতিবাদ করায় বেধড়ক পিটুনি দেওয়া হয় স্বামীকে। পরে তার হাত-পা বেঁধে ফাঁকা মাঠে ফেলে দেওয়া হয়। গতকাল রোববার রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিংয়ের মানিক নস্কর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। সদানন্দ পৈড়া নামের ভুক্তভোগীর করা অভিযোগে তার স্ত্রী অষ্টমী ও শ্যালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী সারাদিন ফোনে ব্যস্ত থাকেন। রোববারও দীর্ঘক্ষণ কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন তার স্ত্রী। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কাকে ফোন করছ?’ এই প্রশ্ন করায় তাঁর হাত–পা বেঁধে ফেলেন স্ত্রী অষ্টমী ও শ্যালক।
তিনি বলেন, এরপর তাকে বেধড়ক মারধর করে রাতে গ্রামের মাঠে ফেলে রেখে আসে তারা। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে বলে জানান।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ৭ বছর আগে গোলাবাড়ি ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা সদানন্দর সঙ্গে গোপালপুর পঞ্চায়েতের মানিক নস্কর পাড়ার অষ্টমীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির কাছে বসবাস করতে শুরু করেন সদানন্দ। তাদের ৩ বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে। দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন বিবাদ চলছিল।
তবে অভিযুক্ত অষ্টমীর দাবি, তার স্বামী পেশায় রাজমিস্ত্রি। কিন্তু ঠিক মতো কাজে যান না সদানন্দ। তিনি তার ওপর অত্যাচার করেন।