ঢাকা: আসন সংখ্যার বিচার না করে ঢালাওভাবে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর কারণেই ভর্তিচ্ছুদের তালিকা প্রকাশ করতে বেগ পেতে হয়।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ চেয়েছিলেন যেসব কলেজে ৩০০ আসন আছে কেবল সেগুলোতেই অনলাইনে ভর্তি করাতে। কিন্তু এ নির্দেশ মানেননি শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান। তিনি ঢালাওভাবে সব কলেজে অনলাইনে ভর্তির সিদ্ধান্ত দেন। আর এ কারণেই জটিলতা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে খোদ শিক্ষাসচিবই সাংবাদিকদের বলেন, আমার নিজের কারণেই জটিলতা। আমি নিজে অনলাইনে ভর্তিতে পুশ করেছি। আমার বিরুদ্ধেই লিখেন।
তবে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি। রোববার রাতে তিনি বাংলানিউজকে বলেন- প্রথমবার, তাই একটু সমস্যা হচ্ছে।
ফল প্রকাশে বিলম্বের কারণে শিক্ষাবর্ষের কোনো ক্ষতি হবে কি না- জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যা হবার হয়ে গেছে, আমরা এটা পুশিয়ে নেব।
গত ২৫ জুন রাত সাড়ে ১১টায় ফল প্রকাশের কথা থাকলেও আবেদনকারীর সংখ্যাধিক্য এবং কারিগরি জটিলতায় ফল প্রকাশে বিলম্ব হয়। মোট শিক্ষার্থী ১১ লাখ ৫৬ হাজার হলেও করলেও মোট আবেদন জমা পড়ে ৩৩ লাখ। কারণ একজন শিক্ষার্থী একাধিক আবেদন করেন বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
গত বছর যে সব কলেজে ৫০০ বা ততোধিক আসনের প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ভর্তির নির্দেশনা ছিল। জটিলতা কমিয়ে আনতে এবার এসএমএসের পাশাপাশি ঢালাওভাবে অনলাইনে ভর্তি বাধ্যতামূলক করায় হিমশিম খায় ভর্তিতে কারিগরি সহায়তাদানকারী বুয়েটের আইআইসসিটি।
বাধ্য হয়ে বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদকে তলব করেন শিক্ষাসচিব। ড. কায়কোবাদের নেতৃত্বে প্রযুক্তিবিদরা রাতদিন ফল প্রকাশের কাজ করেন।