রাজশাহীতে র্যাব পরিচয়ে তল্লাশির নামে ছিনতাইকালে পুলিশের এক কনস্টেবলসহ দু‘জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) এ ঘটনায় দু‘জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র্যাব-৫। এর আগে গতকাল শনিবার রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চাপাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার পুলিশ কনস্টেবলের নাম আবু হেনা মোস্তফা কামাল (৩১)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার আলীনগর গ্রামের তাহেরুল ইসলামের ছেলে। আর তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) দামকুড়া থানায় কর্মরত। গ্রেফতার হওয়া আরেকজন হলেন আবু হেনার সহযোগী মো: রাব্বী (২৭)। তিনি নগরীর রাজপাড়া থানার ভাটাপাড়া আপেল ডেকোরেটর মোড় এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আরো বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোদাগাড়ীর চাপাল এলাকায় বুলবুল আহম্মেদ (২৪) নামের এক যুবককে তল্লাশি করছিলেন আবু হেনা ও রাব্বী। তল্লাশির নামে তারা বুলবুলের মোবাইলফোন কেড়ে নেন। বুলবুল পরিচয় জানতে চাইলে আবু হেনা জানান, তিনি র্যাবের লোক। বুলবুল পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে আবু হেনা ও রাব্বী তাকে মারধর শুরু করেন। এ সময় ভুক্তভোগী বুলবুলের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে অভিযুক্ত দু‘জনকে আটক করে। এরপর র্যাব-৫ এবং গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়া হয়। পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা সেখানে গেলে আবু হেনা মোস্তফা কামাল নিজেকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে পরিচয় দেন। পরে র্যাবের একটি দল দু‘জনকে আটক করে র্যাব-৫-এর সদর দফতরে নিয়ে যায়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষ শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে র্যাব আটক দু‘জনকে গোদাগাড়ী থানায় হস্তান্তর করে।
ওসি জানান, এ ঘটনার পর রবিবার সকালে র্যাবের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ওই দু‘জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে আসামিদের আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে র্যাব সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দু‘জন স্বীকার করেছেন যে, তারা ছিনতাইয়ের উদ্দেশেই শনিবার রাতে সেখানে গিয়েছিলেন। তাই র্যাবের মিথ্যা পরিচয় দেয়া এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে দু‘জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আরএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) রফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ কনস্টেবলের এ ঘটনা সত্য হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।