গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান বলেছেন, ‘নির্বাচনে আমি কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করি না, প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি। আমি চাই স্বচ্ছ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন।
আজ রোববার দুপুরে যাচাই-বাচাইয়ে মনোনয়নপত্র বৈধ হাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ সব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় দলে স্বস্তি ফিরে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার দল, সাধারণ মানুষ ও শান্তিকামী মানুষ স্বস্তি পাচ্ছে। ঋণ খেলাপির বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম একটি সংশোধনী চেয়েছেন। সেটা গ্রহণ হয়েছে কি না জানি না। ব্যাংকের প্রতিনিধিও বলেছে তাদের বোর্ড মিটিং রয়েছে, সেখানে সিদ্ধান্ত হবে। এটা আমাদের কোনো বিষয় নয়। নির্বাচন কমিশনের যে আইন রয়েছে, সেই অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবে। তবে জাহাঙ্গীর আলম যদি প্রার্থিতা ফিরে পায় তাহলে তাকে মোস্ট ওয়েলকাম।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে আমি কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করি না। প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি। আমার চাওয়া হচ্ছে স্বচ্ছ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন। আমি সবাইকে একটা বার্তা দিতে চাই, আর তা হলো কেউ আমাদের শত্রু নয়।’
আজমত উল্লা খান বলেন, ‘বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচন বয়কট করেনি। সিটি করপোরেশন শুধু মেয়র দ্বারা পরিচালিত হয় না, কাউন্সিলরদেরও প্রয়োজন হয়। আর কাউন্সিলর পদে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী নির্বাচন করছে। আমি বলতে চাই বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়নি, শুধু মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।
মেয়র পদে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ
নির্বাচনে মেয়র পদে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করলেও ১২ জন মনোনয়ন জমা দেয়। তিনজনের বাতিল হওয়ার পর ৯ জন প্রার্থী বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। মেয়র পদে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, জাতীয় পার্টির এমএম নিয়াজ উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের গাজী আতাউর রহমান, জাকের পার্টির রাজু আহমেদ,গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল, হারুনুর রশিদ, সরকার শাহনুর ইসলাম ও জায়েদা খাতুন।