কক্সবাজারে বাঁকখালী নদীর মোহনা সংলগ্ন নাজিরারটেক পয়েন্টে সাগরের উপকূলে ভেসে আসা একটি ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ লাশের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। পরে তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে স্বজনদের কাছে ছয়জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়।
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম প্রকাশ সামশু মাঝির লাশ গ্রহণ করেন স্ত্রী রোকেয়া বেগম। চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের জঙ্গলকাটা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়ার লাশ গ্রহণ করেন তার বাবা। শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের জাফর আলমের ছেলে শওকত উল্লাহর লাশ গ্রহণ করেন ভাই আয়াত উল্লাহ। চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের বটতলী এলাকার শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহানের লাশ গ্রহণ করেন স্ত্রী হাফিজা বেগম। শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের মুসা আলীর ছেলে গণি ওসমানের লাশ গ্রহণ করেন মা জহুরা বেগম। এ ছাড়া একই ইউনিয়নের মোহাম্মদ হোসনের ছেলে নুরুল কবিরের লাশ গ্রহণ করেন তার বাবা।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান ও পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলামের উপস্থিতিতে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় তাদের প্রতিটি পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার করে নগদ টাকা দেওয়া হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘দাফনসহ অন্য কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে এ অনুদান প্রদান করা হয়েছে।’
পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘মৃত উদ্ধার ১০ জনের মধ্যে ৬ জনের লাশ স্বজনরা শনাক্ত করার পর যাচাই-বাছাই শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর ৪ জনের লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।’
এসপি বলেন, ‘লাশ হস্তান্তর হওয়া এবং শনাক্ত না হওয়া সকলের মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষা করার পর পরিচয় আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘শনাক্ত হওয়া যে ৬ জনের লাশ হস্তান্তর হয়েছে, তাদের থানায় এজাহার জমা দিতে বলা হয়েছে। এজাহার পাওয়ার পর মামলা নথিভুক্ত হবে।’
গতকাল রোববার উদ্ধার হওয়া ওই ১০ লাশের মধ্যে বাকী চারজনের পরিচয় প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই চলছে। তারা হলেন মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), শাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪)।