সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে আজ শুক্রবার উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। এসব গ্রামে ৯১ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন হয়। সৌদি আরবে চাঁদ দেখা ঘোষণার পরপরই এসব গ্রামে ঈদের আনন্দ বইছে।
শুক্রবার ঈদ উদযাপিত হওয়া চাঁদপুরের গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির বেশ কয়েকটি গ্রাম।
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৭নং পশ্চিম বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন হেলাল জানান, আমার ইউনিয়নের একটি অংশ শুক্রবার ঈদুল ফিতর পালন করবে। এ জন্য এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৭নং পশ্চিম বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন সাদ্রা দরবার শরীফ বর্তমান পীর মো. আরিফ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, এই দরবারের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা ইসহাক সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা ও ঈদ পালনের রেওয়াজ চালু করেন।
তিনি জানান, ১৯৩১ সাল থেকে সাদ্রা মাদ্রাসায় আমার দাদা এবং তার মৃত্যুর পর আমার বাবা ঈদ জামাতের ইমামতি করেছেন। বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমি এর দায়িত্বে রয়েছি।