চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেমকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরশহর এলাকার উদয়ন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জেম শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মরদানা এলাকার মাইনুল আহসানের ছেলে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. মোসা. মুনিরা খাতুন জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় সন্ধ্যায় জেমকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালে রাত সাড়ে ৭টার দিকে তিনি মারা যান।
পৌর যুবলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ‘ইফতারের ১৫ মিনিট আগে পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমানের নির্দেশে তার বাহিনীর সদস্য পৌর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মেসবাউল হক টুটুল, ইব্রাহিম, রানা, শামীমসহ আরও কয়েকজন মিলে প্রকাশ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মাথায় প্রচণ্ড আঘাতের কারণে রক্তশূন্য হয়ে তিনি মারা গেছেন। পরবর্তীকালে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে ঘটনার পর রাতে হাসপাতালে জেমকে দেখতে যান সদর আসনের এমপি আব্দুল ওদুদ। এ সময় তিনি এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমান ও ঢাকার ডিআইজি নুরুল ইসলাম এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করেন এবং এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘পৌর মেয়র ও ডিআইজি দীর্ঘদিন ধরে জেমকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেম ফেসবুকে লাইভ করেন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানান। এ ঘটনায় আগামী ঈদের পর ১০ জনকে হত্যা করা হবে বলেও বিরোধী পক্ষ থেকে জানানো হয়। সেই তালিকার প্রথম নামটি ছিল জেমের। এরই ধারাবাহিকতায় পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমান ও ডিআইজির নির্দেশে যারা কয়েকদিন আগেই নয়ালাভাঙ্গা এলাকায় একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে, আর আজ জেমকে হত্যা করা হলো। এর একমাত্র কারণ পুলিশের দুর্বলতা। যেকোনো কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের দায় পুলিশ সুপারকে বহন করতে।’