আকাশে থালাভরা চাঁদ। মানে বিদায় নিচ্ছে বরকতময় রোজার মাস। বিদায় মুহূর্তে আত্মজিজ্ঞাসা- আমরা কতটা নিজেদের গোনাহ মাফ করাতে পেরেছি! রাত-দিনে আল্লাহর ধ্যানে কত সময় কাটিয়েছি। দোয়া মোনাজাতের সৌভাগ্য আমাদের হয় কি? আল্লাহ বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। রাসুল (স) বলেন, দোয়া একটি ইবাদত। তিরমিজি
রোজা দোয়া কবুলেরও মাস। রাসুল (স) বলেন, ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ইবনে মাজাহ অন্যত্র বলেছেন, দোয়া সব ইবাদতের মূল। তিরমিজি
তবে দোয়া কবুলের পূর্বশর্ত হলো- বৈধ উপার্জন ও খাদ্য। রাসুল (স) বলেন, যে ব্যক্তি আকাশের দিকে দু’হাত তুলে হে আল্লাহ, হে আল্লাহ বলে দোয়া করে। অথচ তার খাবার পানীয় পোশাক অবৈধ এবং তার রক্তমাংস সৃষ্টি হারাম উপার্জনের, তার দোয়া কীভাবে কবুল হবে? মুসলিম
পূর্ণ মনোযোগ ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মোনাজাতের আহ্বান জানিয়ে নবীজি (স) ঘোষণা করেছেন- বড়পীর আবদুল কাদির জিলানি (রহ) রচনাবলিতে উল্লেখ, হে মহান অতিথি রোজা তোমাকে সালাম। তুমি তারাবিহ, তাহাজ্জুদ ও কোরআন তিলাওয়াতের মাস, তুমি পাপমুক্তি ও কল্যাণ অর্জনের মাস। তুমি দোয়া কবুলের মাস। তোমাকে সালাম, শুভেচ্ছা।
তুমি দোয়া মোনাজাতের উপযুক্ত সময়। রোজা তুমি এমন নও যে তোমাকে বিদায় দেওয়া যায়। কিন্তু তুমি আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছো- এই বিরহ-বেদনায় আমরা কাতর। আগামী বছর তোমার অপেক্ষায় থাকলাম। হাদিসের ভাষ্যমতে বিভিন্ন নেক কাজ করার পর দোয়া কবুল হয়। শবেকদর রোজার মাসের দিন রাত, নফল নামাজের সেজদায়, তিলাওয়াতের পর, জমজমের পানি পানকালে, কাবা শরিফে চোখ রেখে দোয়া করলে দ্রুত আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। দোয়া কবুলের মাসে আল্লাহ আমাদের দোয়ায় তাওফিক দিন। আমিন।