গাজীপুর: এক লাফে কমে গেলো ১৫ মেয়র প্রার্থী। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী ছাড়াও আরো দুই জন মাঠে আছেন এখনো। জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল। আওয়ামীলীগের জোটে থাকা জাতীয় পার্ট শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে পারলে সমীকরণ আলো এলোমেলো হয়ে যাবে। এদিকে বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে সরকার শাহ নূর ইসলাম রনি প্রার্থী হলে সমীকরণ আরো জটিল হবে। তবে মূল প্রতিদ্বন্ধিতা কার কার মধ্যে হবে তা জানা যাবে ২৭ তারিখ। ওই দিন মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। ৩০ তারিখ বাছাই, ৮ মে প্রত্যাহারের শেষ দিন। নির্বাচন ২৫ মে।
বর্তমান মাঠে আলোচনায় আছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। আরো আছেন স্বতন্ত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন সরকার। জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন। হাতপাখা নিয়ে লড়ছেন গাজী আতাউর রহমান।
সাধারণ মানুষ বলছেন, আজমত উল্লাহ ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে প্রতিদ্বদ্ধিতা হলে ভালো খেলা হবে। জাহাঙ্গীর না দাঁড়ালে নৌকার সাথে লাঙ্গলের প্রতিদ্বন্ধিতা হবে। লাঙ্গলও সরে গেলে নৌকার সাথে রনির প্রতিদ্বন্ধিতা হবে। রনি নির্বাচন না করলে সব শেষে নৌকা সাথে হাতপাখার লড়াই হবে। সবই স্পষ্ট হবে ৮মে। কিন্তু অনেকটাই হবে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নমনীয় অবস্থানের উপর নির্ভর করে।
এদিকে নানামুখী পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচন একটি গোলক ধাঁধার খেলা হয়ে গেছে। মানুষ কাকে ভোট দিবে তার আগে প্রার্থীর স্থয়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন এসে গেছে। জাহাঙ্গীর আলম ও নিয়াজ উদ্দিন এই দুই প্রার্থীর স্থয়িত্ব নিয়ে জনমনে সন্দেহ রয়েছে। তারা দুইজন না একজন না কেউই নির্বাচন করবেন না সেটা নিয়ে গোলক ধাঁধা তৈরী হচ্ছে। অনেকে বলছেন জাহাঙ্গীর নিয়াজ ও রনি কেউ না করলে নির্বাচনে নৌকা ও হাতপাখার লড়াই হবে এটাই নিশ্চিত। তবে কার সাথে কার লড়াই হবে সেটা জানতে শেষ সময় অর্থাৎ ৮মে পর্যন্ত অপেক্ষা তো করতে হবে।