বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। বাদ পড়েছেন বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
আজ শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এটি চূড়ান্ত করা হয়। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ওবায়দুল কাদের।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগে এত দিন প্রকাশ্যে কোনো দ্বন্দ্ব ও বিভেদ দেখা যায়নি। মহানগর আওয়ামী লীগ ও নগরের ৩০টি ওয়ার্ডের কমিটিগুলো বর্তমান মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছিলেন। সে জন্য অন্য কেউ মনোনয়ন চাইবেন, এমনটা ভাবার সুযোগ ছিল না। ফলে এত দিন ধরে নেওয়া হয়েছিল, আগামী সিটি নির্বাচনে সাদিক আবদুল্লাহই এখানে একক প্রার্থী।
কিন্তু তফসিল ঘোষণার আগেই এই সিটি করপোরেশনে মনোনয়ন পেতে মাঠে নামেন সাদিক আবদুল্লাহর ছোট চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। দল থেকে তাকেই নৌকার দায়িত্ব দেওয়া হলো।
প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বোন আমেনা বেগমের ছোট ছেলে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। তিনি বর্ষীয়ান নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছোট ভাই ও বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ছোট চাচা।
জানা গেছে, পঁচাত্তরের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিভৃতচারী পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী খোকন সেরনিয়াবাতের দলে কোনো পদ-পদবি নেই। সাবেক সংসদ সদস্য ও সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরণের মৃত্যুর পরে প্রথম মহানগর আওয়ামী লীগের শোকসভা ও দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন তিনি। এখন মাঝে-মধ্যেই এসে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য ভোজসভার আয়োজন করে থাকেন খোকন।
পারিবারিকভাবে অনেক আগে থেকেই সম্পর্কে ভাতিজা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র সঙ্গে খোকন সেরনিয়াবাতের চাপা দ্বন্দ্ব রয়েছে।
এদিকে পাঁচ সিটিতে চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন- খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক, সিলেটে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, রাজশাহীতে খায়রুজ্জামান লিটন, বরিশালে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান।
এর আগে সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্বে করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৫ মে। খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে ১২ জুন এবং রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে ভোট হবে ২১ জুন। সবগুলোতে ইভিএমে ভোট হবে।