ঈদের আগে কেন বারবার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘আমি অনুরোধ জানাব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেন বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।’
আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে নিউ মার্কেটের ৪ নম্বর গেটের সামনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ঈদের ঠিক আগে একের পর এক রাজধানীর মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ আগুন ভোরে ঘটছে। এই আগুনের ঘটনাগুলো একই সূত্রে গাঁথা নাকি নাশকতা- জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক বলেন, ‘আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করব এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। কেন একের পর এক মার্কেটগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।’
জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘ঢাকার নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন ভলান্টিয়ারসহ আমাদের ১২ জন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। আমাদের মনযোগ আগুন নিয়ন্ত্রণের দিকে, মানুষের জানমালের ক্ষতি যাতে না হয় সেদিকে।’
উৎসুক জনতা ভিড় করার মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজকে ব্যাহত করছে জানিয়ে ফায়ার ডিজি বলেন, ‘আমি আহ্বান জানাব শুধু এখানকার আগুন নয়, যেকোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উৎসুক জনতা ভিড় না করে যদি ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসেন তবে আমাদের কাজ আরও সহজ হবে।’
নিউ সুপার মার্কেটে লাগা ভয়াবহ আগুন শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেও জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখন আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ ও ডাম্পিংয়ে সময় লাগবে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, কাজ চলছে।’
তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ সম্পর্কে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। সেইসঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কেও জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে নিউ সুপার মার্কেটের আগুনের ঘটনায় ধোঁয়াসহ বিভিন্নভাবে আহত ও অসুস্থ হয়ে দোকান কর্মচারী, ফায়ার সার্ভিস কর্মী, বিমানবাহিনী সদস্যসহ ২৩ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর একে একে ২৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের সাহায্য করেন র্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।