মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টি ও দর্শনের প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
শুক্রবার সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এখন এটি ওয়ার্ল্ড মেমোরি অব হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত। ফলে এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের, বিশ্বের সব জনগোষ্ঠীর এটি অসাধারণ সম্পদ। এর রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষণ ও সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া এখন সবার সম্মিলিত দায়িত্ব।’
ঢাবি উপাচার্য আরও বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টি ও দর্শনের প্রতিফলন। এটি অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার বার্তা দিয়ে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘যে আতঙ্ক ছিল, তার প্রতিবাদে সব মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। মানুষ খুবই আনন্দমুখর পরিবেশে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে। সব ধরনের উগ্রবাদিতা, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এটি একটি প্রতিবাদ।’
উপাচার্য বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে একটি পরিবেশবান্ধব, প্রকৃতি নির্ভর, অন্তর্ভুক্তিমূলক সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের কামনায় সর্বস্তরের মানুষের একটি গভীর প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটে। আমরা আন্তরিকভাবে সকলকে ধন্যবাদ দেই সদয় সহযোগীতা করার জন্য এবং সকল ধরণের কুটমণ্ডকতা, সাম্প্রদায়িকতা এবং উগ্রবাদিতার বিরুদ্ধে এটি একটি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক আহ্বান।’