গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শেষ ইচ্ছা ছিল নিজের প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই চিকিৎসা নিয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করা। এ জন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার কথা বলা হলেও রাজি হননি তিনি। অবশেষে নিজের সেই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যু হয়। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের প্রধান কিডনি বিশেষজ্ঞ ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রধান চিকিৎসক অধ্যাপক মামুন মোস্তাফী রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে তার মৃত্যুর খবর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজের প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চার দিন আগে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দেশের বাইরে নেওয়ার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাননি।
তার অন্তিম ইচ্ছা ছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই চিকিৎসা নিয়ে মরতে চান। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু সোমবার (১০ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘ওনাকে নিয়ে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি। সব দিক থেকে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে; কিন্তু পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে না। উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে স্যারের ইচ্ছার বাইরে গিয়ে আমরা কিছু করছি না। করোনার সময় ওনার অবস্থা এখনকার চেয়েও খারাপ ছিল। কিন্তু উনি গণস্বাস্থ্যের বাইরে কোনো চিকিৎসা নেবেন না। এমনকি দেশের বাইরেও চিকিৎসার জন্য যাবেন না, এটিই ওনার শেষ কথা।’
৮১ বছর বয়সী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এ অবস্থায় তিনি তার প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। গত সোমবার সকালে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।