গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে শেষ ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দরকার ছিল ২৯ রান। বোলিংয়ে যশ দেয়াল আর স্ট্রাইকপ্রান্তে ছিলেন ‘মূলত বোলার’ উমেশ যাদব। ১ রান নিয়ে স্ট্রাইক এনে দেন তখন ১৬ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকা রিংকু সিংকে। শেষ ৫ বলে দরকার ২৮ রান। অর্থাৎ প্রায় প্রত্যেক বলেই দরকার ওভার বাউন্ডারি। দানবীয় ব্যাটিংয়ে সেই চূড়ান্ত কঠিন ম্যাচই বের করে আনেন রিংকু।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ২০৪ রানের বিশাল সংগ্রহ তোলে গুজরাট। দলের পক্ষে ২৪ বলে ৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন অসুস্থ হার্দিক পান্ডিয়ার বদলে দলে সুযোগ পাওয়া বিজয় শঙ্কর। এছাড়া অর্ধশতক আসে তিনে নামা সাই সুধারসনের (৫৩) ব্যাটেও।
জবাব দিতে নেমে ২৮ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে কলকাতা। পাওয়ার প্লেতে আসে মাত্র ৪৩ রান। তৃতীয় উইকেটে ১০০ রানের জুটি গড়েন নীতিশ রানা ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার। রানা ৪৫ রান করে বিদায় নিলেও পাঁচে নামা রিংকুকে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন ভেঙ্কটেশ। ১৫৫ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনিও (৮৩)। দলের সঙ্গে আর ১ রান যোগ হতেই বিদায় নেন আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন ও শার্দুল ঠাকুর।
৭ উইকেট হারানো কলকাতার ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন তখনই মাটিচাপা দেন বেশিরভাগ। শেষ ৮ বলে কলকাতার দরকার ছিল ৩৯ রান। উনিশতম ওভারের শেষ দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে কাজ কিছুটা এগিয়ে রাখেন রিংকু। শেষ ওভারের প্রথম বলটি কোনোমতে লং অনে ঠেলে ১ রান এনে দেয়ার কাজটি পটুতার সঙ্গেই করেন উমেশ। এরপরই দেখা যায় সেই রিংকু শো।
দ্বিতীয় বলটি ওয়াইড ইয়র্কার করতে চেয়েছিলেন গুজরাটের বোলার দেয়াল। তবে সেটি অফস্ট্যাম্পের বাইরে ফুলটস হিসেবে পান রিংকু। ওয়াইড লং অফের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন রিংকু। তৃতীয় বলে লেগ সাইড দিয়ে ফুলটস মারেন দেয়াল। সেটিও দড়ির ওপর দিয়ে সীমানাছাড়া করতে ভুল করেননি রিংকু। চতুর্থ বলটিও ফুলটস দেন গুজরাটের এই বোলার। এবার ছক্কা আসে লং অফের ওপর দিয়ে। শেষ দুই বল ফুলটস না দিলেও বলকে তখন ‘ফুটবল’ দেখা রিংকু সীমানার ওপারে আছড়ে ফেলতে ভুল করেননি মোটেই।