বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘যে যতো বড় পদে সরকারি চাকরি করেন, তারা তত বড় সেবক। সারাদেশে ৪০ লাখ মামলা চলমান রয়েছে। প্রতিটি মামলায় অন্তত ৫-৫ জন করে লোককে আদালতে আসতে হয়। তাদের আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হয়। তাদের বসবার বা তাদের জায়গা কোথায় তারা জানে না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিই, প্রতিটি জেলায় আমরা ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারব। ওই টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ কাজের ঠিকাদারকেও বলি যাতে লাভ কম করেন। আদালতে বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি বন্ধে ও মামলা জট কমাতে আইনজীবীদের ভূমিকা রাখতে হবে।’
আজ রোববার দুপুরে রাজবাড়ী আদালত প্রাঙ্গণে আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাহগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ রুহুল আমিন, জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামানসহ বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আদালত প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন এবং বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।