রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মাইক্রোবাস ভাঙচুরের ভিডিও করা ও ছবি তোলায় দুই সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে গোয়লন্দ উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দৈনিক বাংলা ও বাংলা ট্রিবিউনের রাজবাড়ী প্রতি মঈনুল মঈনুল হক মৃধাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল ৩টায় গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। তার আগে দুপুর আড়াইটার সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে শান্তি সমাবেশ শুরু করে। এ সময় সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১৬-২০২৯) এলে যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা গাড়িটি থামিয়ে এর যাত্রীদের মারধর করে। তারা মাইক্রোবাসটি ভাঙচুর করে। এসময় ছবি তোলা ও ভিডিও করায় দৈনিক বাংলা ও বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি মো. মঈনুল হক মৃধা ও দৈনিক ইনকিলাবের গোয়ালন্দ প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক লাল্টুকে মারধর করে।
আহতদের মধ্যে মঈনুল হক মৃধাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর লাল্টু প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি শিকদার মুহাম্মদ আসজাদ হোসেন আজু বলেন, ‘মঈনুল তার পেশাগত কাজে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সি বলেন, ‘হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। শোনার পরই আমি হাসপাতালে ভর্তি সাংবাদিক মঈনুলকে দেখতে এসেছি। স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।’
এ ঘটনায় রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, গোয়ালন্দে সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাকর্মীসহ অন্তত ১০ জনকে মারধর এবং মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়েছে। এ হামলার নিন্দা জানান তিনি।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদারের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।