মিয়ানমার থেকে অন্তত ১০ হাজার মানুষ থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে। গত বুধবার থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তুমুল লড়াইয়ের হাত থেকে বাঁচতে দেশটির এসব মানুষ থাইল্যান্ডে পালিয়েছে। থাই কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক সমর্থক মিলিশিয়া নিয়ন্ত্রিত এবং চীনা মালিকানাধীন ক্যাসিনোর শহর শ্বে কোক্কো থেকে এসব মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। দুই বছর আগে দেশটিতে ক্যু-এর পর এটি এখন পর্যন্ত প্রথম এতো সংখ্যক লোকের পালানোর ঘটনা।
তবে চলমান তীব্র লড়াই সম্পর্কে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে সংঘর্ষের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে সংঘর্ষের পরিমাণ অনেক বেড়েছে
এই দুই বছরে মিয়ানমারের সামরিক সরকার দেশটির বিশাল অংশে তাদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে পারেনি। তারা সীমান্ত এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে মোকাবিলায় লড়ে যাচ্ছে।
ক্যু এর পর এখন পর্যন্ত দেশটিতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১৪ লাখের বেশি মানুষ। জাতিসংঘ বলছে, দেশটির জনসংখ্যার তিনভাগের একভাগকে এখন ত্রাণ দরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) ও এর সহযোগীরা গত বুধবার শ্বে কোক্কোর কাছে সামরিক ফাঁড়ি এবং একটি তল্লাশি চৌকিতে আক্রমণ শুরু করলে সর্বশেষ এ লড়াই শুরু হয়। কেএনএলএ বিবিসি থাইকে জানিয়েছে, সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছে।
সীমান্ত ত্রাণকর্মীরা থাইল্যান্ডের মায়ে সত এবং মায়ে রামাত অঞ্চলে শরণার্থীদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন। মায়ে সতে আশ্রমএ মিয়ানমারের এক স্বেচ্ছাসেবক কে থি বলেন, দীর্ঘদিনের জন্য আমাদের আরও দাতা দরকার।