আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকিট আজ শুক্রবার বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ দেওয়া হচ্ছে ১৭ এপ্রিলের টিকিট, তবে বিক্রি শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে পশ্চিমাঞ্চলের এদিনের টিকিট। যশোর, খুলনা এবং উত্তরবঙ্গগামী চলাচলকারী কোনো ট্রেনেরই টিকিট নেই।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, এ বছর ঈদযাত্রা ও ঈদের ফিরতি যাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইন মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। সকাল ৮টার কয়েক মিনিট পর বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেটিং ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চারটি ট্রেনের কোনোটিতেই কোনো টিকিট নেই। একই চিত্র দেখা গেছে ঢাকা থেকে রংপুরগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে। ১৭ তারিখে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের চিত্রও ভিন্ন ছিল না। তবে যেসব রুটে বরাবরই চাপ কম থাকে সেসব রুটে টিকিট মিলছে বেশ পরেও। সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেটের সব ট্রেনেই টিকিট পাওয়া গেছে। ঢাকা-খুলনা রুটেও কিছু সিট খালি দেখা গেছে।
আগামীকাল ৮ এপ্রিল দেওয়া হবে ১৮ এপ্রিলের টিকিট। এরপর ৯ এপ্রিল ১৯ এপ্রিলের, ১০ এপ্রিল ২০ এপ্রিলের এবং ১১ এপ্রিল বিক্রি হবে ২১ এপ্রিলের ঈদযাত্রার টিকিট।
ঈদের ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৫ এপ্রিল থেকে। ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরুর প্রথম দিন অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৫ এপ্রিলের টিকিট। এরপর ১৬ এপ্রিল ২৬ এপ্রিলের, ১৭ এপ্রিল ২৭ এপ্রিলের, ১৮ এপ্রিল ২৮ এপ্রিলের, ১৯ এপ্রিল ২৯ এপ্রিলের এবং ২০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট।
রেলের ঢাকা বিভাগের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম শিশির বলের, ‘এরই মধ্যে সব টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে পশ্চিমাঞ্চলের। পূর্বাঞ্চলের কিছু টিকিট বিক্রি এখনো বাকি। প্রতিদিন বিক্রি করা হবে ২৫ হাজার ৭৭৮টি টিকিট। অনলাইনে টিকিট বিক্রি হওয়ায় রেলস্টেশনে যাত্রীদের কোনো ভিড় নেই। রেলের টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা সহজ ডটকম প্রতি মিনিটে বিক্রি করতে সক্ষম ৮ হাজার টিকিট। একসঙ্গে ১০ লাখ লোক তাদের সাইটে প্রবেশ করতে পারবে।’
রেল মন্ত্রণালয় জানায়, ঈদ উপলক্ষে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৮ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ২০ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আন্তঃদেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন যথারীতি চলাচল করবে।