ঢাকা: ইয়াবা ও মানবপাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়া পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
এ জন্য পৃথক ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরইমধ্যে সব ইউনিট প্রধানকে বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ সদর দফতর।
বুধবার (২৪ জুন) বিকালে পুলিশ সদর দফতর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিআইজি সাইফুল হককে প্রধান করে ইয়াবা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি।
এছাড়া সাময়িক বরখাস্তকৃত এএসআই মাহফুজুর রহমানসহ সব সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (এম অ্যান্ড পিআর) নজরুল ইসলাম জনান, পুলিশ বিভাগ কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দেয় না। বরং নিজের ইউনিটের কেউ অপরাধে জড়ালে তাকে অপরাধী হিসেবেই গণ্য করা হয়।
‘এ ক্ষেত্রে আমরা সব সময়ই ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করি। কোন সদস্যের অপরাধের কারণে পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টাও সমীচীন নয়।’
যারা ইয়াবাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি।
মাদক সংক্রান্ত অপরাধীদের শনাক্ত করতে গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন- পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের এআইজি (পিআইও) কাজী জিয়া উদ্দিন, ডিসিপ্লিন এবং প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড শাখার সিনিয়র এএসপি আব্দুস সালাম এবং ফেনী জেলার এএসপি হেড কোয়ার্টার্স।
এছাড়া মানবপাচার, মাদক এবং অন্যান্য ঘটনা তদন্ত করতে স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত ডিআইজি তৌফিক মাহবুব চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল হায়দার এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিসিপ্লিন এবং প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সদস্য হিসাবে রয়েছেন।