আজ ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে মাওয়ার উদ্দেশে পরীক্ষামূলক ট্রেনের যাত্রা করে। ছবি: সংগৃহীত
পদ্মা সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
আজ বেলা ১টা ২১ মিনিটে ভাঙ্গা স্টেশন থেকে একটি গ্যাংকার ট্রেন এবং সাতটি বগিবিশিষ্ট যাত্রীবাহী স্পেশাল ট্রেন মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। এর মধ্য দিয়ে মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জে প্রথমবার যাত্রা করল ট্রেন।
এর আগে গত ২৮ মার্চ পদ্মা সেতুতে সবশেষ স্লিপার বসানো হয়। বাকি থাকা সাত মিটার অংশের ঢালাই কাজ পরের দিন বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে শেষ করেন প্রকৌশলীরা।
ঢালাইয়ের মধ্য দিয়ে দুই পাশের ভায়াডাক্ট ৬.৬৮ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ সম্পন্ন হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ।
রাজধানী থেকে যশোর পর্যন্ত রেলসংযোগ প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সেতুতে যানবাহন চালু রেখেই নিচতলায় পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণ। তাই কাজ শেষ হওয়ায় ২৯ মার্চ লাল রঙের ব্যানার নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা।
প্রকৌশলীরা জানান, ৬.১৫ কিলোমিটার মূল সেতু, ও দুই পাশের ভায়াডাক্ট সেতু মিলিয়ে পদ্মা রেল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.৬৮ কিলোমিটার। মূল সেতুতে ১১ হাজার ১৪০টি স্লিপার স্থাপিত হয়েছে। মুভমেন্ট জয়েন্টের ইস্পাতের ৮টি স্লিপার ছাড়া বাকি সবগুলো কংক্রিটের তৈরি।