সরকারের দুর্নীতি প্রকাশ করলে ডিজিটাল আইনে মামলা দিচ্ছে’

Slider রাজনীতি


ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অনিয়ম দুর্নীতি প্রকাশ করা হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ১২ দলীয় জোট নেতারা। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ শনিবার দুপুরে বিজয়নগরের আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনের ফুটপাতে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে জোট নেতারা এ অভিযোগ করেন।

এতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ এলডিপির তমিজউদ্দিন টিটুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান বাংলাদেশ আবু তাহের, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল গণি, মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা মহিউদ্দীন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) অ্যাডভোকেট জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ ভাসানী) অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা শওকত আমিন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) খান আসাদুর রহমান প্রমুখ।

মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘রমজান মাসে আমাদের রাজপথে নামতে বাধ্য করেছে। এই সরকার মানুষের বাক স্বাধীনতা ও বেঁচে থাকার অধিকার ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসন করছে। আমরা জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যেই রাজপথে নেমেছি। জনগণের গণঅভ্যুত্থানে সরকার পদত্যাগ করতে ও নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যতবার ক্ষমতায় এসেছে তখনই অঘটন ঘটিয়েছে। ১৯৯৬ সালে তারা সচিবালয়ে আমলাদের উস্কানি দিয়ে বিদ্রোহ ঘটিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছে। কোনো সুষ্ঠু বিচার করতে পারেনি। ২০১০-২০১১ সালে সাধারণ মানুষের টাকা শেয়ার বাজার থেকে লুটে নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকারের অনিয়ম দুর্নীতি প্রকাশ করা যায় না। কিছু লিখলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিচ্ছে। প্রথম আলোর সাংবাদিককে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার আজও হয়নি। আসুন এই লুটেরা ও নিপীড়ক সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলি। যাতে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। সেই সঙ্গে সব কারাবন্দী সাংবাদিক ও আলেম এবং রাজবন্দীর মুক্তি দাবি করছি।’

সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘আমাদের দফা এখন দাবি এক এই সরকারকে টেনে-হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। দেশে এখন সংস্কৃতির দুর্ভিক্ষ চলছে। সাধারণ মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হলে ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’

ইসলামী ঐক্যজোটের শওকত আমিন বলেন, ‘দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। মধ্যবিত্তরাও চালের ট্রাকের লাইনের পেছনে ছুটছেন। দেশ যেন ৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়। আজকে বাংলাদেশকে বন্দীশালায় পরিণত করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। সেজন্য কঠোর আন্দোলন আসছে।’

শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে কেউ নিরাপদ নন। এমন কোনো অন্যায় ও দুর্নীতি নাই যা করেনি। এদের বিদায় দেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *