নওগাঁয় ভূমি অফিসের কর্মচারী জেসমিন সুলতানার মৃত্যুর ঘটনায় র্যাব-৫-এর বেশ কয়েকজন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের জয়পুরহাট থেকে রাজশাহী র্যাব কার্যালয়ে এনে এই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
রাজশাহী র্যাব-৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার আমাদের সময়কে তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘জেসমিনকে আটকের অভিযান চালিয়েছিল র্যাব-৫-এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি দল। এই অভিযানের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেককেই জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীতে র্যাবের ব্যাটালিয়ন সদরদপ্তরে নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত কমিটি এখন রাজশাহীতেই অবস্থান করছে। মূলত তদন্ত কমিটি এই সদস্যদের কাছ থেকে নানা প্রশ্নের উত্তর জানছেন।’
রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, ‘তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতার অংশ হিসেবেই তাদের রাজশাহী আনা হয়েছে। তবে এটি ‘‘প্রত্যাহার’’ কিংবা ‘‘ক্লোজড’’ পর্যায়ের বিষয় নয়। আর এই সংখ্যা ১১ নয়, তারও বেশি।’
এর আগে গত ২২ মার্চ সকালে নওগাঁ সদরের নওজোয়ান মাঠের সামনে থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে ৪৫ বছর বয়সী জেসমিনকে তুলে নিয়ে যায় র্যাব। পরে গত শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন।
র্যাবের দাবি, তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছিল। তবে স্বজনদের দাবি, নির্যাতনে জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে। আর জেসমিনের মৃত্যুর পর তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের পরিচালক (যুগ্ম সচিব পদমর্যাদা) এনামুল হক।