ঢাকা: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফেরত দিতে শর্ত জুড়ে দিয়ে মায়ানমার ‘অতিরিক্ত’ করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে সেখানে জাতীয় এসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মায়ানমার বিজিবি সদস্য আবদুর রাজ্জাককে ফেরত দিতে শর্ত হিসেবে দেশটিতে আটক ৫শতাধিক অভিবাসীকে বাংলাদেশে আনার শর্ত জুড়ে দিয়েছে। বিষয়টিকে মায়ানমারের বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ।’
‘আমরা তাদের (মায়ানমার) আটক লোকদের নাম-ঠিকানা সম্বলিত তালিকা পাঠানোর কথা বলেছি, তারা বাংলাদেশি হলে আমরা অবশ্যই ফেরত নেবো।
মানবপাচারের শিকার মায়ানমারে আটক লোকদের পরিচয় যাচাই না করে ফেরত নেবে না বাংলাদেশ।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বিজিবি-এর নায়েক রাজ্জাককে ফিরিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে শর্ত দিয়ে অতিরিক্ত করছে মায়ানমার। কেননা মায়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিজিপির রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যাওয়া এবং দেশটিতে আটক অভিবাসীদের ইস্যু সম্পূর্ণ আলাদা।
‘অভিবাসীদের বিষয়টি তদারকি করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর বিজিবি সদস্য রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যাওয়ার ইস্যুটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখছে।’
‘আমরা নিশ্চিতভাবে আশাবাদী অবিলম্বে রাজ্জাককে ফেরত নেওয়া হবে,’ যোগ করেন তিনি।
গত ১৭ জুন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরার নাফ নদী সংলগ্ন সীমান্ত থেকে দায়িত্বরত বিজিবি-এর নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যায় বিজিপি।
২২ জুন সোমবার রাজ্জাক ফেরত দিতে বঙ্গপোসাগরের মায়ানমার সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া অবৈধভাবে সমুদ্র পথে মালয়েশিয়াগামী ৫ শতাধিক অভিবাসীকে বাংলাদেশে ফেরত আনার শর্ত দেয় মায়ানমার।
তবে সংবাদমাধ্যম বলছে, পাচারের শিকার উদ্ধার হওয়াদের বেশির ভাগই মায়ানমারের নাগরিক।
সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসিড অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০২-এর আওতায় বর্তমানে বিচারাধীন ১ হাজার ৮১টি মামলা আছে।
‘বিভিন্ন মামলায় বিচারে এ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে, আর যাবজ্জীবন হয়েছে ১১৬ জনের,’ বলেন তিনি।