বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এলাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ঘুষের টাকা ফেরত পেতে থানায় অভিযোগ করেছেন এমএ তারেক হেলাল নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা।
রোববার রাতে আব্দুল হান্নান নামের এক শিক্ষক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে তিনি ধুনট থানায় অভিযোগ করেন। এমএ তারেক হেলাল এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০ মার্চ এলাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করতে ছাত্র অভিভাবক সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধি পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গোপন ভোটে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামাল পাশা, আবদুল হান্নান ও রুনা লায়লা নির্বাচিত হন।
অভিযোগে তারেক হেলাল উল্লেখ করেন, ‘এলাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি তিনি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২৫ মার্চ ৯ ভোটের মধ্যে তোজাম্মেল হক ৫ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি চার ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সভাপতি পদে তিনটি ভোট দেওয়ার কথা বলে শিক্ষক প্রতিনিধি আব্দুল হান্নান ২৪ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা নেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর ভোট না দেওয়ায় নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন।’দ
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকায় বিষয়টি এখনো রেকর্ড করা হয়নি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল হান্নান আমাদের সময়কে বলেন, ‘নির্বাচনে পরাজিত হয়ে এমএ তারেক হেলাল আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তার সঙ্গে আমার কোনো টাকার লেনদেন হয়নি।’
স্কুলের নবনির্বাচিত সভাপতি তোজাম্মেল হক বলেন, ‘কত বড় দুর্নীতিবাজ হলে মাত্র তিনটি ভোট ৬ লাখ টাকায় কেনেন একজন প্রার্থী। নির্বাচিত হলে ওই প্রার্থীর দ্বারা বিদ্যালয়ের কি উন্নয়ন হতো এটিই এখন বিচার্য বিষয়।’
এ বিষয়ে অভিযোগকারী স্থানীয় তারেক হেলাল জানান, তিনি সরল বিশ্বাসেই টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটে তার সাথে বেঈমানী করা হয়েছে।