অবৈধভাবে ক্ষমতায় যাওয়া বিএনপি এখন গণতন্ত্র চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাদের জন্মই গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়নি, মিলিটারির পকেট থেকে হয়েছে, তারাই নাকি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে।’
আজ সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি প্রতিটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তারা। জিতবে না জেনেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় বিএনপি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করা এবং প্রথমে লেবাস পড়ে ক্ষমতা যাওয়া, রাজনীতিকে গালি দিয়ে ক্ষমতা দখল করে, আবার সেই লেবাস খুলে নিজেরাই রাজনীতিবিদ হয়ে যাওয়া আর ক্ষমতা উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দখল গঠন করার কালচারটাই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে। অবৈধ দখলকারীদের হাতে তৈরি করা যে সংগঠন তারা নাকি গণতন্ত্র চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র দেয়নি, তারা গণতন্ত্র দেবে। গণতন্ত্রের জন্য নাকি তারা লড়াই করে। ওদের জিজ্ঞেস করতে হয়, তাদের জন্মটা কোথায়? অবৈধ দখলদারি এটা তো আমাদের কথা না। আমাদের উচ্চ আদালত বলে দিয়েছি যে, জিয়া-এরশাদ সম্পূর্ণ অবৈধ। তারপর তারাও নাকি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামও করে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাত্তরে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে অর্জিত স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুরু করা ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই এসেছে বলে মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার ৫৩ বছর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই ১৯৪৮ সালে আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন সেই আন্দোলনের পথ বেয়েই তিনি ধীরে ধীরে এদেশের মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি রাষ্ট্র দিয়েছেন। একটি জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন। বিশ্ব দরবারে আত্মপরিচয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি তার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না’, বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারে নাই। ভবিষ্যতেও পারবে না।’
‘আওয়ামী লীগের সময় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করে দেখিয়েছি,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।
আলোচনা সভায়টি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন- আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস আউয়াল শামীম।