বিজিবির অপহৃত নায়েক আবদুর রাজ্জাককে ফেরতে নতুন শর্ত দিয়েছে মিয়ানমার। দেশটির নৌবাহিনীর হাতে উদ্ধার হওয়া ৫৫৫ জন মালয়েশিয়াগামী অভিবাসীকে বাংলাদেশ ফেরত নিলে একই সময়ে নায়েক রাজ্জাককে ফেরত দিতে রাজি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। একাধিক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি’র জিম্মায় থাকা বিজিবি নায়েক রাজ্জাককে ফেরতের শর্ত দিয়ে বার্তা আসে নেপিডো থেকে। গতকাল দুপুরে ঢাকাস্থ মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র দপ্তরকে বিষয়টি জানান। ইয়াংগুনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতও ঢাকাকে বিষয়টি অবহিত করেন। অভিবাসী আর পোশাকধারী-দুটি বিষয় সম্পূর্ণ ভিন্ন, একটির সঙ্গে অন্যটি মিলানো ঠিক হবে না বলে তাৎক্ষণিক এমন প্রতিক্রিয়া দেখায় ঢাকা। চীনে সফররত বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শর্ত ছাড়াই রাজ্জাককে ফেরত দেবে মিয়ানমার। তারপরও দুপুরের পর এ নিয়ে বিজিবি-বিজিপি মাঠ পর্যায়ে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিজিবির টেকনাফ ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ জানান, সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সঙ্গে তার কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় রাজ্জাককে ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায় বিজিপি। বিজিপির পক্ষ থেকে শর্ত দেয়া হয়, রাজ্জাকসহ মিয়ানমারের জলসীমায় দেশটির নৌবাহিনীর হাতে উদ্ধার ৭২৭ জনের মধ্যে ৫৫৫ বাংলাদেশী রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা মালয়েশিয়াগামী ছিলেন। তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। বিজিবি কর্মকর্তা আবুজার আল জাহিদ আরও জানান, রাজ্জাক এবং উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের ইস্যুটি সমপূর্ণ ভিন্ন। বিজিপির দাবি মতে, ৫৫৫ জন অভিবাসীর মধ্যে সবাই বাংলাদেশী কিনা বা কতজন প্রকৃতই বাংলাদেশী তা যাচাই-বাছাই করা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আপাতত রাজ্জাককে ফেরত দিতে হবে। রাজ্জাককে দ্রুত ফেরত চেয়েছি। অভিবাসী ফেরতের বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের পর সুরাহার সিদ্ধান্ত বিজিপিকে জানানো হবে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে টেকনাফের নাফ নদীর জাদিমুরা পয়েন্ট সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির সময় নায়েক রাজ্জাককে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এ সময় সিপাহী বিপ্লব নামের এক বিজিবি সদস্যও গুলিবিদ্ধ হন। মিয়ানমারে বিজিপির হেফাজতে থাকা অবস্থায় শারীরিক নির্যাতনের পর অনলাইনে রাজ্জাকের ছবি প্রকাশ করা হয়। রাজ্জাককে ফিরিয়ে দিতে বিজিবির পক্ষ থেকে কয়েক দফা পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হলেও সাড়া দেয়নি বিজিপি।
বাবা হওয়ার খবরে খুশি রাজ্জাক: এদিকে বাবা হওয়ার খবর পেয়েছেন মিয়ানমারে আটক বিজিবির নায়েক আবদুর রাজ্জাক। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের মাধ্যমে এ বার্তাটি আবদুর রাজ্জাককে দেয়া হয়েছে। বিজিপির পক্ষ থেকে ফিরতি বার্তায় জানানো হয়েছে বাবা হওয়ার খবরে আবদুর রাজ্জাক খুশি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে বাবা হওয়ার খবর পাওয়ার পর বিষয়টিকে মানবিক বিবেচনায় দেখছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির দূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করে জানিয়েছেন, রাজ্জাক বাবা হওয়ার বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় নিয়ে তাকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১৯৮০ সালের একটি চুক্তির আওতায় রাজ্জাককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল বাবা দিবসে একটি পুত্র সন্তানের জনক হয়েছেন আবদুর রাজ্জাক। পরিবারে নতুন মুখ আসলেও রাজ্জাককে নিয়ে উদ্বিগ্ন সময় পার করছে তার পরিবার।
বাবা হওয়ার খবরে খুশি রাজ্জাক: এদিকে বাবা হওয়ার খবর পেয়েছেন মিয়ানমারে আটক বিজিবির নায়েক আবদুর রাজ্জাক। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের মাধ্যমে এ বার্তাটি আবদুর রাজ্জাককে দেয়া হয়েছে। বিজিপির পক্ষ থেকে ফিরতি বার্তায় জানানো হয়েছে বাবা হওয়ার খবরে আবদুর রাজ্জাক খুশি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে বাবা হওয়ার খবর পাওয়ার পর বিষয়টিকে মানবিক বিবেচনায় দেখছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির দূত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করে জানিয়েছেন, রাজ্জাক বাবা হওয়ার বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় নিয়ে তাকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১৯৮০ সালের একটি চুক্তির আওতায় রাজ্জাককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল বাবা দিবসে একটি পুত্র সন্তানের জনক হয়েছেন আবদুর রাজ্জাক। পরিবারে নতুন মুখ আসলেও রাজ্জাককে নিয়ে উদ্বিগ্ন সময় পার করছে তার পরিবার।