জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: মায়ানমারের বর্ডার গার্ড অব পুলিশ (বিজিপি) নায়েক রাজ্জাককে হাতকড়া পরিয়ে রাখার মাধ্যমে ১৬ কোটি বাঙালির হাতে হাতকড়া পরানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম। তিনি বলেন, নায়েক রাজ্জাক না, ১৬ কোটি বাঙালির হাতে হাতকড়া পরিয়েছে বিজিপি।
সোমবার (২২ জুন) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাজী সেলিম বলেন, গত বৃহস্পতিবার ১০ টায় বিজিপির একটি টহল দল বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে। টহলদল বাংলাদেশ নৌ-যানের কাছে থামে এবং নায়েক রাজ্জাককে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এসময় বাধা দিলে দু’দেশের বিজিবি-বিজিপির মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এতে বিজিবির সিপাহী বিল্পব কুমার গুলিবিদ্ধ হন। এরপর আমাদের নায়েক রাজ্জাককে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাজী সেলিম বলেন, রাজ্জাককে ফেরত না দিয়ে কোনো কূটনীতিক আলোচনা না করে, পতাকা বৈঠক না করে আটকে রাখা হয়। এরপর সবশেষ বিজিপির ফেসবুকে ৩টি ছবি আপলোড করা হয়, এর একটিতে দেখা যায় রাজ্জাকের নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। আর একটিতে বিজিপি পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। সামনে তার (রাজ্জাক) অস্ত্র, তাকে আসামির মতো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। নায়েক রাজ্জাকের হাতে হাতকড়া। এটা শুধু ওনাকে (রাজ্জাককে) দাঁড় করিয়ে রাখে হয়নি, ১৬ কোটি বাংলাদেশকে আটকে রাখা হয়েছে, হাতকড়া পরানো হয়েছে।
দু’দেশের বিজিবি-বিজিপির মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকার অভিযোগ তুলে বলেন, দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকলে এটা হতো না।
বিজিবি কেন এখনো নায়েক রাজ্জাককে ফেরত আনতে পারলো না প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে কি বিজিবি শক্তিশালী নয়। বিজিবি যদি শক্তিশালী হতো তাহলে এটা হতো না।
তিনি বলেন, মায়ানমারের বিজিপি মাদক, চোরাচালন, ইয়াবা, মানবপাচারসহ এমন কোনো কাজ নেই যার সঙ্গে তারা জড়িত নেই। সেই বিজিপিই আমাদের বিজিবির সদস্যকে আটকে রাখে কীভাবে?