দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্কোর: বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৩৪৯/৬ (মুশফিকুর ১০০*, তাসকিন ১*; ইয়াসির ৭, হৃদয় ৪৯,শান্ত ৭৩, লিটন ৭০, তামিম ২৩, সাকিব ১৭)।
মুশফিকুর রহিমের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডকে ৩৫০ রানের টার্গেট দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে এখনও ২২ গজে নামতে পারেননি সফরকারী ব্যাটাররা। বৃষ্টি বাধায় ম্যাচ শুরু হতে দেরি হচ্ছে। ভারী বর্ষণ হচ্ছে সিলেটে। কাট অফ টাইম ধরা হয়েছে ৯টা ৩৩ মিনিট। ওই সময় খেলা শুরু হলে ২০ ওভারের ইনিংস খেলবে আইরিশরা।
মুশফিকের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের রেকর্ড রান
রান তাড়া করার তাড়না ছিল না। কিন্তু তারপরও দর্শকদের মনে ছিল উদ্বেগ। মুশফিকুর রহিম সেঞ্চুরি পাবেন তো? কারণ বল খুব একটা হাতে নেই। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯ রান। প্রথম বলে ইয়াসির আলী রাব্বি আউট হলেন। ক্রিজে নেমে তাসকিন আহমেদ নিলেন সিঙ্গেল। তৃতীয় বলে দুই নিয়ে ব্যবধান কমালেন। চতুর্থ বলে চার ও পরের বলে দুই রান, শেষ বলে লাগতো একটি রান। সেটাও করে ফেললেন, তাতে ৬০ বলে সেঞ্চুরি করে ফেললেন মুশফিক, যা বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম। তাতে আয়ারল্যান্ডকে ৩৫০ রানের বিশাল লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ। ৬ উইকেটে ৩৪৯ রান, এটা ওয়ানডেতে তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। টানা দুটি ম্যাচে দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ।
২৯তম বল খেলেও মুশফিকের নামের পাশে ছিল ৩৬ রান। এরপর আগ্রাসী তিনি। আর চার বল খেলে করলেন হাফ সেঞ্চুরি, মোট ৩৩ বলে। বাকি ৫০ রান করলেন আর ২৭ বল খেলে। তার এই ঝড়ো ইনিংসে ছিল ১৪ চার ও ২ ছয়। ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব, ওটাই এতদিন ছিল বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরি।
টানা হাফ সেঞ্চুরি হলো না হৃদয়ের
হাফ সেঞ্চুরি হলো না তাওহিদ হৃদয়ের। আগের ম্যাচে ৯২ রান করা এই ডানহাতি ব্যাটার এক রানের জন্য ফিফটিবঞ্চিত হলেন। ৩৪ বলে ৪৯ রান করে মাঠ ছাড়লেন তিনি। ভাঙলো ৭৭ বলে ১২৮ রানের ঝড়ো জুটি। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে কট বিহাইন্ড হন হৃদয়। আম্পায়ার আঙুল তুললেও রিভিউ নেন তিনি, কিন্তু ব্যর্থ হন উইকেট বাঁচাতে।
মুশফিকের ঝড়ো ফিফটি, ৭ হাজার রানের ক্লাবে
৪৩তম ওভারে মুশফিক ২৯ বলে ৩৬ রান নিয়ে খেলতে শুরু করেন। মার্ক অ্যাডায়ারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন। পরের বল তাওহিদ হৃদয় সিঙ্গেল নিলে স্ট্রাইকে যান উইকেটকিপার ব্যাটার। এরপর পয়েন্ট দিয়ে একটি চার, তারপর মিড অফ দিয়ে আরেকটি। নামের পাশে ৪৫ রান, পরের বলটি ছক্কা মেরে হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করলেন মুশফিক। ৩৩ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪৪তম ফিফটির দেখা পান ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পরের ওভারে কুর্টিস ক্যাম্ফারকে প্রথম বলে চার মেরে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৭ হাজার ওয়ানডে রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। এই কীর্তি গড়তে ৫৫ রান লাগতো ডানহাতি ব্যাটারের।
মুশফিক-হৃদয়ের জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়ে
৮ রানের ব্যবধানে সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত মাঠ ছাড়ার পর মুশফিকুর রহিম ও তাওহিদ হৃদয় শক্ত জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন। ১৯০ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ার পর দুজন মিলে পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি গড়েছেন।