জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বেঙ্গুরা এলাকায় সেতু ভেঙে খালে তেলবাহী ওয়াগন ডুবে যাওয়ার ঘটনায় ট্রেন যোগাযোগ আবার চালু করতে আরও ৩ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সেতুটির অস্থায়ী কাঠামো পুনর্নির্মাণের জন্য সিসি ক্রিব, জয়েস্ট, স্লিপার, রেল ও অন্যান্য সামগ্রী ব্রিজের পাশে আনা হয়েছে। ওয়াগন সরানোর পরপরই অস্থায়ী কাঠামোর পুননির্র্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
রোববার (২১ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে অস্থায়ী কাঠামোর পুনর্নির্মাণের কাজ চলমান। অস্থায়ী কাঠামো এবং এর উপর রেলপথ পুনর্নির্মাণের পর লাইনচ্যুত ইঞ্জিন এবং ভূমিতে থাকা ওয়াগনগুলো উদ্ধার করা হবে। উদ্ধার কাজ শেষ করে ট্রেন যোগাযোগ আবার চালু করতে আরও ৩ দিন সময় লাগবে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনাস্থল সেতুর উপর হওয়ায় রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপন ও উদ্ধার কার্যক্রমে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হচ্ছে।
ইতোমধ্যে সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেতুটির দু’টি অ্যাবটিমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে অস্থায়ী কাঠামোর উপর দিয়ে সীমিত গতিতে ট্রেন চলাচল করছিল।
দুর্ঘটনায় পতিত ট্যাংক ওয়াগন নং বিটিকে-৬০০০১, বিটিকে-৬০২৪৬ ও বিটিকে-৬০১৯২ হতে কিছু ফার্নেস অয়েল খালের পানিতে পড়ে যায়। খালের পানিতে পড়ে যাওয়া তেল যাতে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের পরামর্শমতে তেল অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পরই কিছু তেল আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে, যা অপসারণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই দায়িত্বে অবহেলার জন্য সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম ও ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সেতু) আকবর আহমেদ ফেরদৌসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দুর্ঘটনা তদন্তের জন্য চিফ মেকানিক্যালের (পূর্ব) নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ চট্টগ্রামকে আহ্বায়ক করে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দু’টি ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে। এরপর রিপোর্ট পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।