ইসমাঈল হোসেন: গাজীপুর:১৮ মার্চ শনিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হওয়া চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির বিরুদ্ধে পুলিশের করা রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ আদেশ দেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে গাজীপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নিয়ে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষ আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালতে। এর আগে, সকাল রাজধানী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রোকন মিয়া বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাহী দম্পতির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া মারধর, ভাঙচুর, চাঁদা দাবি ও জমি দখলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেন স্থানীয় ইসমাইল হোসেন। এ মামলায় ২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন।
চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহি স্বামী রকিব সরকারের সাথে সম্প্রতি সৌদি আরব গিয়েছেন ওমরা হজ্ব পালন করতে। সেখান থেকে শুক্রবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে স্বামী রকিব সরকারের গাড়ির শোরুমে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেন। ফেসবুক লাইভে তিনি দাবি করেন, তার স্বামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সনিরাজ কার প্যালেস নামের গাড়ির শোরুমের গেট ভেঙে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ইসমাইল হোসেন ও মামুন সরকারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন মাহিয়া মাহি। এসময় ফেসবুক লাইবে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ তুলেন মাহি।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহি পুলিশের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ করেছেন, মিথ্যা বলে মানুষের সহানুভূতি নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। অথচ মাহি বা তার স্বামী জমিজমা সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে আমার কাছে আসেননি। যাদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাদেরও আমি চিনি না। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার ভোরে বিষয়টি জানার সাথে সাথেই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দু’পক্ষই পালিয়ে যায়। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে। ইসমাইল হোসেনসহ তার পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়ে এবং তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে আহত ইসমাইল বাদী হয়ে ২৮ জনের বিরুদ্ধে বাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে