দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। যার কারণে ভারত থেকে নতুন করে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা বাজারে।
হিলি পেঁয়াজ বাজার ঘুরে জানা যায়, ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুচরা ও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তি যাচ্ছে। ভারতের আমদানিকৃত যে পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ২২ টাকা কেজি দরে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা কেজি দরে। আবার ২৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজও পাইকারি বাজারে এখন ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে এসব পেঁয়াজ ৪ থেকে ৫ টাকা বেশিতে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা। হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা নজরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, আজ শুক্রবার বাজরে এসে শুনি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। গত সোমবার দুই কেজি পেঁয়াজ কিনলাম ২৪ টাকা কেজি দরে। আজ সেই পেঁয়াজ ভালো মানেরটা ৩০ টাকা কেজি। ভাবলাম ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের দাম বেশি তাহলে দেশি পেঁয়াজ কিনব। কিন্তু দেখছি দেশির দাম আরো বেশি। দেশি পেঁয়াজ আজ ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে যদি সব কিছুর দাম বাড়ে তাহলে আমরা সাধরণ মানুষদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
সরিফুল নামের আরেক ক্রেতা বলেন, দুই দিন আগে পেঁয়াজের দাম কম ছিল। বিক্রি হতো ২৩-২৪ টাকা কেজি। আজ বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। ব্যবসায়ীরা বলেছে- ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ তাই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ভারতের পেয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামনে রমজানে দাম আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমদানি স্বাভাবিক হলে আবারো বাজার দর স্বাভাবিক হবে।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা শাহাবুল ইসলাম নামে একজন পাইকার বলেন, হঠাৎ করে বন্দরে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যদি আবার হুট করে বাজার কমে যায় তাহলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে।
হিলি বাজারে পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শাহাবুল ইসলাম বলেন, দুইদিন আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। গত দুই দিন আগে যে পেঁয়াজ ২২ টাকা পাইকারি দিয়েছি, আজ তা ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, সামনে রমজান দেশে পেঁয়াজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। এরমধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। দাম বাড়তে শুরু করেছে, আগামীতে আরো বাড়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক হলে দাম বাড়বে না, বাজার স্বাভাবিক থাকবে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ আছে। নতুন করে আমদানি না-হওয়া ভারতীয় ও দেশীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়েছে। নতুন করে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে দাম স্বাভাবিক হবে।