আরাভ খান পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার আসামি জানা সত্ত্বেও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান তার ডাকে দুবাইয়ে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্বর্ণের দোকানের মালিক আরাভ খান পুলিশ খুনের আসামি বিষয়টি সাকিব আল হাসানকে জানানো হয়েছিল। এরপরও তিনি দুবাইয়ে কেন গেলেন? বিষয়টি দুঃখজনক।
ডিবি প্রধান জানান, তদন্তের স্বার্থে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও ইউটিউবার হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
হারুন অর রশীদ বলেন, পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম জেলখানায় নকল আসামি দিয়ে পালিয়ে যান। পরে ডিবির তদন্তে নকল আসামির ঘটনা সামনে আসে। এরই মধ্যে মূল আসামি দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকানের মালিক আরাভ খান ভারতে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই যায়। আরাভ একজন খুনি, মিডিয়াতেও অনেকবার বলা হয়েছে। এরপরেও সাকিবসহ অন্যান্য তারকারা খুনের মামলার আসামির ডাকে দুবাইয়ে গেছেন এবং তার স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে যোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে ১২টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলাপ করে ইন্টারপোলের সহায়তায় তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এর আগে, গত বুধবার দুবাইয়ে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তবে উদ্বোধনী মঞ্চে না উঠেই ১০ মিনিটের মধ্যে চলে যান তিনি। একই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মঞ্চ মাতান হিরো আলম। এ ঘটনায় দেশে সমালোচনার ঝড় বইছে।