২০০৭ সালে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয় ছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। এরপর প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। গত মে মাসে শেষদিকে আরও ৮ হাজার ২৮৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করে পরিকল্পনা কমিশনে দ্বিতীয় সংশোধিত প্রকল্প উন্নয়ন প্রস্তাব (ডিপিপি) পাঠিয়েছে সেতু বিভাগ। অর্থাৎ তৃতীয় দফায় সংশোধনী প্রস্তাবে ব্যয় ধরা হয়েছে আসল প্রস্তাবের তিন গুণ। এরই মধ্যে দ্বিতীয় সংশোধিত ব্যয় পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটিতে (পিইসি) অনুমোদন পেয়েছে। সহসাই এটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) উঠবে। সব মিলিয়ে এখন প্রকল্পের মোট ব্যয় গিয়ে দাঁড়াবে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল (জিওবি) ২৭ হাজার ৪২৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সহায়তা ১ হাজার ৩৬৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। অন্যদিকে, জানুয়ারি ২০০৯ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে নতুন বাস্তবায়নকাল নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২০ সাল পর্যন্ত। এভাবে নতুন করে সময় ও ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্প উন্নয়ন প্রস্তাব (ডিপিপি) সংশোধন করা হয়েছে।
এদিকে ব্যয় বাড়ানোর কারণ উল্লেখ করে সেতু বিভাগ ডিপিপিতে জানায়, ভৌত নির্মাণ ও পরামর্শক সেবার বিষয়ে ইতিমধ্যে সম্পাদিত চুক্তিমূল্য অনুযায়ী বিভিন্ন প্যাকেজের ব্যয় বাড়ায় মোট প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্পটি সুষ্ঠু ও যথাসময়ে বাস্তবায়নে প্রস্তাব করা হয়েছে অনুমোদিত জনবলের অতিরিক্ত জনবলের জন্য। অনুমোদিত ডিপিপিবহির্ভূত অতিরিক্ত কাজের প্রয়োজন হলে তা পদ্মা সেতু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যে কারণে আবারও বেড়েছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের মোট ব্যয়। পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের এক সিনিয়র কর্মকর্তা মানবজমিনকে জানান, সেতু বিভাগ থেকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধনের জন্য ডকুমেন্টারি পরিকল্পনা কমিশনে এসেছে। প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় বিষয়টি অনুমোদন পেয়েছে। এখন শুধু একনেকে অনুমোদনের বাকি। সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর পুরো কাজের ১৮ ভাগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সেতু নির্মাণসহ সব কাজের জন্য আলাদা করে বেশ কয়েকটি চুক্তি হয়েছে। কাজের অগ্রগতির বিচারে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সামগ্রিক অগ্রগতি বলা হয়েছে ৩৩ শতাংশ। প্রকল্পের অর্থের মধ্য থেকে এরই মধ্যে ৩ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সেতু বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ ১৮ আর সামগ্রিকভাবে বলতে ৩৩ ভাগ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণে দৃশ্যমান কাজও শুরু হয়েছে বেশ আগেই। সেতু নির্মাণের ৬টি পরীক্ষামূলক (টেস্ট) পাইলের কাজ এখন চলমান রয়েছে। ১৪২টি স্থানে মাটি পরীক্ষার কাজও করা হচ্ছে। পদ্মা নদীর দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। পুনর্বাসন ও সার্ভিস এরিয়া নির্মাণের কাজ রয়েছে শেষপর্যায়ে। এদিকে ২০১৮ সালে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়েছেন একাধিক মন্ত্রী। তবে শেষ মুহূর্তে ওই আশায় গুড়েবালি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ সেতু বিভাগের ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাবে মূল ব্যয় প্রস্তাবের তিন গুণ ও প্রথম সংশোধনের তুলনায় ৪০ ভাগ ব্যয় বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বাস্তবায়নের সময়কালও দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২০শে আগস্ট পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে পদ্মা সেতু প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। ওই সময় এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। পরে নানা জটিলতায় কারণে তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়। প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। এবার আবারও ৮ হাজার ২৮৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে প্রকল্পের মোট ব্যয় গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকায়। পদ্মা সেতুর সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা জানান, এবারের বাজেটে পদ্মা সেতুর জন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় সেতু বিভাগের সংশোধনী আনা হয়েছে। সহসাই পদ্মা সেতুর মতো জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়টি ফয়সালা হবে। এদিকে পদ্মা সেতুর ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একাধিক সভায় সাংবাদিকদের বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় বাড়ছে। তবে সেতুর কাজ নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী এগিয়ে চলেছে। ২০১৮ সালের মধ্যেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে। ওই বছরই সেতু জনগণের জন্য খুলে দেয়া হবে। তবে সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী ২০২০ সালে সেতুটির কাজ শেষ হবে।
এদিকে ব্যয় বাড়ানোর কারণ উল্লেখ করে সেতু বিভাগ ডিপিপিতে জানায়, ভৌত নির্মাণ ও পরামর্শক সেবার বিষয়ে ইতিমধ্যে সম্পাদিত চুক্তিমূল্য অনুযায়ী বিভিন্ন প্যাকেজের ব্যয় বাড়ায় মোট প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্পটি সুষ্ঠু ও যথাসময়ে বাস্তবায়নে প্রস্তাব করা হয়েছে অনুমোদিত জনবলের অতিরিক্ত জনবলের জন্য। অনুমোদিত ডিপিপিবহির্ভূত অতিরিক্ত কাজের প্রয়োজন হলে তা পদ্মা সেতু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যে কারণে আবারও বেড়েছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের মোট ব্যয়। পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের এক সিনিয়র কর্মকর্তা মানবজমিনকে জানান, সেতু বিভাগ থেকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধনের জন্য ডকুমেন্টারি পরিকল্পনা কমিশনে এসেছে। প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় বিষয়টি অনুমোদন পেয়েছে। এখন শুধু একনেকে অনুমোদনের বাকি। সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর পুরো কাজের ১৮ ভাগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সেতু নির্মাণসহ সব কাজের জন্য আলাদা করে বেশ কয়েকটি চুক্তি হয়েছে। কাজের অগ্রগতির বিচারে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সামগ্রিক অগ্রগতি বলা হয়েছে ৩৩ শতাংশ। প্রকল্পের অর্থের মধ্য থেকে এরই মধ্যে ৩ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সেতু বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ ১৮ আর সামগ্রিকভাবে বলতে ৩৩ ভাগ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণে দৃশ্যমান কাজও শুরু হয়েছে বেশ আগেই। সেতু নির্মাণের ৬টি পরীক্ষামূলক (টেস্ট) পাইলের কাজ এখন চলমান রয়েছে। ১৪২টি স্থানে মাটি পরীক্ষার কাজও করা হচ্ছে। পদ্মা নদীর দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। পুনর্বাসন ও সার্ভিস এরিয়া নির্মাণের কাজ রয়েছে শেষপর্যায়ে। এদিকে ২০১৮ সালে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়েছেন একাধিক মন্ত্রী। তবে শেষ মুহূর্তে ওই আশায় গুড়েবালি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ সেতু বিভাগের ডিপিপি সংশোধনের প্রস্তাবে মূল ব্যয় প্রস্তাবের তিন গুণ ও প্রথম সংশোধনের তুলনায় ৪০ ভাগ ব্যয় বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বাস্তবায়নের সময়কালও দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২০শে আগস্ট পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে পদ্মা সেতু প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। ওই সময় এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। পরে নানা জটিলতায় কারণে তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়। প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। এবার আবারও ৮ হাজার ২৮৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে প্রকল্পের মোট ব্যয় গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকায়। পদ্মা সেতুর সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা জানান, এবারের বাজেটে পদ্মা সেতুর জন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় সেতু বিভাগের সংশোধনী আনা হয়েছে। সহসাই পদ্মা সেতুর মতো জনগুরুত্বসম্পন্ন বিষয়টি ফয়সালা হবে। এদিকে পদ্মা সেতুর ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একাধিক সভায় সাংবাদিকদের বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় বাড়ছে। তবে সেতুর কাজ নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী এগিয়ে চলেছে। ২০১৮ সালের মধ্যেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে। ওই বছরই সেতু জনগণের জন্য খুলে দেয়া হবে। তবে সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী ২০২০ সালে সেতুটির কাজ শেষ হবে।