সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিনকে ২৭ লাখ টাকা ফেরতের নির্দেশ

Slider বাংলার আদালত


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারকে বিদেশে চিকিৎসার নামে নেওয়া ২৭ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সম্প্রতি ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে এ আদেশ দেন।

জমির উদ্দিন সরকারের আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১০ সালে জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করে দুদক। মামলাগুলোয় অভিযোগ ছিল, জমির উদ্দিন সরকার ২০০৬ সালে স্পিকার থাকা অবস্থায় বিদেশে চিকিৎসার জন্য ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা তুলে আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০১২ সালে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় দুদক। পরে বিচারিক আদালত চার্জশিট আমলে নিলে তা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে বিবিধ আবেদন করেন জমির উদ্দিন সরকার। পরে দুর্নীতির পাঁচটি মামলা বাতিল প্রশ্নে ২০১৬ সালে বিভক্ত রায় দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে আপিল বিভাগ শুনানি করে গত বছর রায় দেন। তাতে জমির উদ্দিন সরকারকে বিদেশে চিকিৎসা বাবদ নেওয়া টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেন। সম্প্রতি আপিল বিভাগের ওই রায় বিচারিক আদালতে আসলে বিচারক প্রদীপ কুমার রায় আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে ওই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেন।

আইনজীবী জাকির বলেন, ‘আদেশ অনুযায়ী আমরা দু’এক দিনের আদালতে টাকা জমা দিয়ে দেব।’

মামলার চার্জশিটে বলা হয়, জমির উদ্দিন সরকার ২০০৬ সালে স্পিকার হিসাবে বিদেশে চিকিৎসার জন্য ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকার বিল নিজের নামে অনুমোদন করেন এবং ওই অর্থ তুলে নেন। দেশের প্রচলিত আইনে জাতীয় সংসদের স্পিকারের বিদেশে চিকিৎসার জন্য ব্যয় অনুমোদনের ক্ষমতা নেই। কিন্তু তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিল অনুমোদন করে অর্থ তুলে নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *