স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে আজ রোববার দিনভর উত্তপ্ত ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা রেলগেটে আগুন জ্বালিয়ে রেললাইন অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ রাত ৮টার দিকে চারুকলা অনুষদ থেকে বাঁশ ও কাগজের তৈরি পুতুল বা ডামি নিয়ে রেললাইনের ওপর আগুন জ্বালান শিক্ষার্থীরা।
এতে করে রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট থেকে চারুকলা অনুষদের দিকে যান। রাত ৮টার দিকে রেললাইনের ওপর আগুন জ্বালিয়ে দেন।
গতকাল শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় আজ সন্ধ্যায় উপাচার্য ভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেছেন ৮ জন শিক্ষার্থী। এ সময় সুনির্দিষ্ট সাত দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো গতকালের ঘটনার জন্য প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে এবং প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে হবে, হামলাকারীদের শনাক্ত করতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে, শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত করা এবং হলগুলো রাজনৈতিক ‘সন্ত্রাস’ বন্ধ ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হলের আবাসিকতা প্রদান বন্ধ করা, ক্যাম্পাসের গেটগুলোতে চেকপোস্ট বসানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ করতে না দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং, দোকান, ক্যান্টিনের খাবারের দাম ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করে দেওয়া ও খাবারের মান নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশন পুনরায় চালু করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘আমার ছেলের মেডিকেলে পরীক্ষা থাকায় আমি ছেলেকে নিয়ে বগুড়ায় গিয়েছিলাম। গতকাল আমি ছুটিতে ছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর মোবাইলে বিভিন্নভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করি। কাল ভোরে আমি রাজশাহীতে ফিরব।’