অর্ন্তকোন্দলের কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টর, ৫ সহকারী প্রক্টর, ১০ জন হাউজ টিউটার পদত্যাগ করেছেন। মোট ১৮টি পদের ১৬ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেন। এ ঘটনার একঘন্টার মধ্যে নতুন প্রক্টর নিয়োগ দিয়েছে প্রশাসন। আজ রোববার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ কে এম নূর আহমেদ। তিনি জানান, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা পদত্যাগ করেছেন।
প্রক্টরদের মধ্যে পদত্যাগ করেছেন প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া। তিনি আবদুর রব হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব থেকেও পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়া সহকারী প্রক্টররা হলেন, এস এ এম জিয়াউল ইসলাম, ড. শহিদুল ইসলাম, ড. রামেন্দু পারিয়াল, গোলাম কুদ্দুস লাভলু, শাহরিয়ার কুলছুম তন্ময়।
প্রক্টরদের পদত্যাগের একঘন্টার মধ্যে চবির নতুন প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরের নাম ঘোষণা করেছে প্রশাসন। নতুন প্রক্টর হয়েছেন মেরিন সায়েন্সস অ্যান্ড ফিশারিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার। সহকারী প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ রোকনউদ্দিন এবং ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সের অধ্যাপক সৌরভ সাহা জয়। আজ থেকে নিয়ম মোতাবেক প্রদেয় ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাসহ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করবেন তারা।
চবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আর্থিক লেনদেন ও ঝামেলার সঙ্গে পদত্যাগ করা প্রক্টরিয়াল বডি জড়িত। বর্তমানে তাদের স্বার্থে আঘাত পড়ায় তারা পদত্যাগ করেছেন।
তিনি আরও জানান, চবির মেরিন সায়েন্স বিভাগে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষক নেওয়ার নৈপথ্যে রয়েছেন বর্তমান নিয়োগ পাওয়া প্রক্টর। সেই নিয়োগ সুষ্টুভাবে সম্পন্ন করার পুরষ্কার হিসেবে প্রক্টর পদে তাকে নিয়োগ দিয়েছে প্রশাসন।
এছাড়াও আজ পদত্যাগ করেছেন শাহজালাল হলের আবাসিক শিক্ষক মো. শাহরিয়ার বুলবুল, এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক অনাবিল ইহসান, প্রীতিলতা হলের আবাসিক শিক্ষক ফারজানা আফরিন রুপা, শহীদ আব্দুর রব হলের আবাসিক শিক্ষক ড. এইচ এম আব্দুল্লাহ, রমিজ আহমেদ, শামসুন্নাহার হলের আবাসিক শিক্ষক সাকিলা তাসমি, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষক নাসরিন আক্তার, ড. শাহ আলম, উম্মে হাবিবা এবং আলাওল হলের আবাসিক শিক্ষক ঝুলন ধর।