বাস ভাড়া নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের মেইন গেটে তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১২ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে গেটে তালা দেন তারা। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় ১২ ও ১৩ মার্চ সব ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার (১১ মার্চ) রাতে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
এদিকে শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও স্থানীয়দের মধ্যে বিনোদপুর বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়। রাকিব নামের এক শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
এ ছাড়াও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শনিবার (১১ মার্চ) রাতেই বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে সংঘর্ষ চলাকালীন বিনোদপুর বাজারে বেশ কিছু দোকান ভাঙচুর করা হয়। রোববার (১২ মার্চ) নগরের বিনোদপুর বাজারের দোকানপাট খোলেনি ব্যবসায়ীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার বিকেলে বগুড়া থেকে মোহাম্মদ বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। এ সময় বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির ড্রাইভার শরিফুল ও সুপারভাইজার রিপনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আকাশের। পরে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে এসে আবারও সুপারভাইজারের সঙ্গে ঝামেলা বাধে। তখন স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এরপর সন্ধ্যায় ৬টার দিকে স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।