মেডিকেল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ট্র্যাকিং ডিভাইস যুক্ত করায় প্রশ্ন ফাঁস হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘সারা দেশে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি এবং প্রশ্ন ফাঁসও হয়নি।’
আজ শুক্রবার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের একটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণের জন্য জোরালো কমিটি হয়েছে, সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রয়েছেন। তারা প্রশ্ন তৈরি করেছেন। ডিজিটাল মাধ্যমে ট্র্যাকিং করে প্রশ্নপত্র প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিপিএর মান বাড়ানোয় মেডিকেলে ভর্তির পরীক্ষার্থী কমেছে। আগে দুই পরীক্ষা (মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক) মিলিয়ে জিপিএ ৮ পেলে আবেদন করা যেত। এবার তা বাড়িয়ে ৯ করা হয়েছে। যে কারণে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।’
২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস–এ ভর্তি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪ হাজার। আজ সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজে ৪ হাজার ৩৫০ আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন ভর্তি–ইচ্ছুক। এ ছাড়া বেসরকারি ৭১টি মেডিকেল কলেজে ভর্তি যোগ্য আসন রয়েছে ৬ হাজার ৭৭২টি। এ বছর ছেলে পরীক্ষার্থী থেকে মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এ বছর ৫৬ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন তার বিপরীতে ছেলে শিক্ষার্থী ৪৬ শতাংশ।
এ বছর ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী পরীক্ষার্থী বেশি। ছাত্রীরা বেশি পরীক্ষা দিচ্ছে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ৫৪ শতাংশ আর ছাত্র ৪৪ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এ বছর সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষার্থী কম রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘একটি দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী পিছিয়ে থাকলে দেশ এগোতে পারে না। আজ পরীক্ষায় বেশি অংশগ্রহণ বলে দেয় মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষায়ও মেয়েরা বেশি পাস করছে। আমাদের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক নিয়োগেও মেয়েরা এগিয়ে।’