ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে আসা শুরু হয়েছে। গতকাল বৃস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার পর থেকে আদানির ৪০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে।
আদানির বাংলাদেশ অফিসের মহাব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন লাভলু বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে এই বিদ্যুৎ পরীক্ষামূলকভাবে আসছে বলে তিনি জানান।
এদিকে আদানি থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ কতটা কমে আনা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ১৩ মার্চ ভারতে যাবে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল।
গতকাল বৃস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে বাংলাদেশের গ্রিডের সঙ্গে আদানির বিদ্যুৎ সংযুক্ত হয়। রাত ৯টা পর্যন্ত ৫০ মেগাওয়াট বা তার কম-বেশি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আদানি দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। এর উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৪৯৮ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ৭৫০ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র গতকাল উৎপাদনে এসেছে। অন্য ইউনিটটির এ বছরেই উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্রে জানা গেছে, আদানির বিদ্যুৎ সঞ্চালন করার জন্য ভারত এবং বাংলাদেশ প্রান্তে যে গ্রিড লাইন রয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অংশের কাজ শেষ করেছে পিজিসিবি। পিজিসিবির তরফ থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে লাইনটি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রস্তত রয়েছে বলে জানানো হয়।
আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের কোড্ডা জেলায়।সেখান থেকে সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আসবে চাপাইনবাবগঞ্জের রোহনপুরে। সেখান থেকে যাবে বগুড়াতে।
ঝাড়খন্ডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে সঞ্চালনের জন্য মোট ২৪৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে ভারতে ১০৮ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ১৩৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন রয়েছে।