২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মুহিউদ্দীন ইয়াসিন। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা জানিয়েছে, মুহিউদ্দীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আদালতে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হবে।
মালয়েশিয়ান দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) জানিয়েছে, আগামীকাল শুক্রবার মুহিউদ্দীনকে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থপাচার মতো একাধিক অভিযোগের মুখোমুখি হবেন। ১৭ মাসের শাসনামলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন ঠিকাদারকে প্রজেক্ট পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
স্ট্রেইট টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালীন সময়ে চুক্তির বিনিময়ে নির্মাণ ঠিকাদাররা ৭৫ বছর বয়সী মুহিউদ্দীনের বারসাতু পার্টির অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা দিয়েছে- এমন অভিযোগের তদন্ত করছে এমএসিসি। অভিযোগ, বারসাতু পার্টির অ্যাকাউন্টে ঠিকাদাররা ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জমা দিয়েছে।
এমএসিসি এই নিয়ে বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঘুষ চাওয়ার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অর্থ পাচারে জড়িত থাকার জন্য বেশ কয়েকটি অভিযোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।
সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি-জেনারেলের চেম্বার শুক্রবার কুয়ালালামপুর হাইকোর্টে ৭৫ বছর বয়সী মুহিউদ্দীনকে অভিযুক্ত করার জন্য তাদের অনুরোধ অনুমোদন করেছে।
মুহিউদ্দীনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণ হলে তার ২০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে এবং যে পরিমাণে ঘুষ নিয়েছেন তার পাঁচগুণ জরিমানা হতে পারে।
এছাড়া অর্থপাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১ দশমিক ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের জরিমানা এবং পাঁচ বছরের জেল বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। এর আগে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে ১২ বছরের জেল হয়েছে।