রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের নর্থ সাউথ রোডের দুটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ১০ জনের কেউই শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
আজ বুধবার সোয়া ১১টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘গতকালের দুর্ঘটনায় আমাদের এখানে ১১ জন রোগী ছিল, তার মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেলে ট্রান্সফার করা হয়েছে; কারণ তার বার্ন নাই।’
ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক বলেন, ‘বর্তমানে যে ১০ জন আছে তার মধ্যে তিন জন আইসিইউতে, দুজন লাইফ সাপোর্টে আছে। আর বাকিরা আছেন এসডিইউতে।’
চিকিৎসাধীন ১০ জনের মধ্যে কেউই শঙ্কামুক্ত নয় জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘যারা আছে তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। কারণ, কারও শরীরের ৮০ পারসেন্ট, কারও ৯০ পারসেন্ট; কারও ৫০ পারসেন্ট দগ্ধ হয়েছে। সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। আমরা কাউকেই শঙ্কামুক্ত বলতে পারব না।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শরীরের ১২ শতাংশ পোড়া ক্ষত নিয়ে মো. হাসান এবং ৫০ শতাংশ পোড়া ক্ষত নিয়ে জাহান আইসিইউতে ভর্তি আছেন। হাসান আইসিইউ এর ১১ নম্বর বেডে এবং জাহান ৯ নম্বর বেডে আছেন। আর শরীরের ৯৮ শতাংশ পোড়া ক্ষত নিয়ে মো. মুসা ভর্তি আছেন এসডিইউর ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ নম্বর বেডে।
এ ছাড়া ওলিল শিকদার ২০ শতাংশ, খলিল শিকদার ৮ শতাংশ, ইয়াসিন আলী ৫৫ শতাংশ, মো. বাবলু ১৮, আল-আমিন ১৫, বাচ্চু মিয়া ৪০ শতাংশ ও আজমের ৮০ শতাংশ পোড়া ক্ষত নিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
আর মোস্তফা নামে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বার্ন ইউনিট থেকে ঢাকা মেডিকেলে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া শতাধিক আহত হয়েছেন। মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনো তিন জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।