বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্ত থেকে: মায়ানমারের জলসীমা থেকে উদ্ধার করা আরো ৩৭ বাংলাদেশি অভিবাসীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মায়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে ওই ৩৭ অভিবাসীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে মায়ানমারের অভ্যন্তরে ঢেকুবনিয়ায় বিজিপি ক্যাম্পে সকাল ১১টার দিকে এ নিয়ে বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল আলম খোন্দকার। মায়ানমারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মায়ানমার ইমিগ্রেশন বিভাগের সহকারী পরিচালক চ নাইং।
বৈঠক শেষে মায়ানমারের ঢেকুবনিয়া থেকে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ৩৭ বাংলাদেশি অভিবাসীকে ফেরত আনা হয়। স্বদেশে ফেরত আসা ওইসব অভিবাসীকে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, এর আগে ২১ মে মায়ানমারের জলসীমায় ভাসমান অবস্থায় ২০৮ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে মায়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা। পরে মায়ানমার কর্তৃপক্ষ উদ্ধারকৃত ২০৮ জন অভিবাসীর মধ্যে ২০০ জনকে বাংলাদেশি অভিবাসী বলে দাবি করে আসছিল।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে গত ৮ জুন মায়ানমার অভ্যন্তরের ঢেকিবুনিয়া বিজিপি ক্যাম্পে উভয় দেশের প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে পতাকা বৈঠক শেষে ১৫০ জন বাংলাদেশিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত আনা হয়।
পরে বাকি ৫৮ জনের মধ্যে আবারও যাচাই বাছাই শেষে ৩৭ জন বাংলাদেশিকে শনাক্ত করে তাদের ফেরত আনার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়।